'রোনালদোর চেয়ে বেশি পেশাদার ফুটবলার আর খুঁজে পাইনি'

ছবি: এএফপি

কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন হোসে ব্লেসা। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মতো বড় মাপের একজন তারকার সৌদি আরবের একটি ক্লাবে আগমনে সেখানকার অনেক কিছু পাল্টে যাওয়া অনুমিতই। তবে ব্লেসার দোটানা কেটে যেতে সময় লাগেনি। আল নাসরের এই পুষ্টিবিদ দলের মধ্যে দেখতে পাচ্ছেন ইতিবাচক পরিবর্তন। তার কাজেও সহায়ক ভূমিকা রাখছেন রোনালদো।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর আল নাসরে যোগ দেন পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী রোনালদো। পর্তুগিজ মহাতারকার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটিকে। নতুন ঠিকানায় নিজেকে মানিয়ে নিতে শুরু করেছেন ৩৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আল নাসরের এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে ৫ গোল করেছেন তিনি। পাশাপাশি সতীর্থদের দুটি গোলেও রেখেছেন অবদান।

ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমানোর দুই মাসও পূর্ণ হয়নি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্তাসের সাবেক ফুটবলার রোনালদোর। এরই মধ্যে তার পেশাদারিত্ব নজর কেড়েছে ৩৫ বছর বয়সী ব্লেসার। স্প্যানিশ গণমাধ্যম আইডিয়ালকে সম্প্রতি তিনি বলেছেন, 'তার সঙ্গে কাজ করতে কেমন লাগবে এবং (সে আসায়) এই ক্লাব অনেক পরিবর্তিত হয়ে যাবে কিনা তা নিয়ে বাকি সবার মতো আমিও দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম। তবে তার চেয়ে বেশি পেশাদার ফুটবলার আমি আর খুঁজে পাইনি।'

পুষ্টিবিদ হিসেবে দলের ফুটবলারদের খাদ্যাভাসের দিকে নজর রাখতে হয় ব্লেসাকে। বয়স বিবেচনায় নজরকাড়া ফিটনেসের অধিকারী রোনালদোর কাছ থেকে এই ব্যাপারে অনেক কিছু জেনেছেন তিনি, 'তার সঙ্গে প্রতিটি আলোচনাতেই কিছু না কিছু শেখার থাকে। আমাদের যখন সাক্ষাত হয়, তার খাদ্যাভাস এবং পারফর্ম করার জন্য এটা (খাদ্যাভাস) ও বিশ্রামের গুরুত্ব সম্পর্কে সে কী ভাবে তা নিয়ে কথা হয়েছিল।... সে সবার আগে অনুশীলনে আসে এবং সবার পরে যায়। তার সঙ্গে কাজ করাটা চমৎকার।'

খাদ্যাভাসের ক্ষেত্রে আল নাসরের বাকি খেলোয়াড়রা বর্তমানে রোনালদোকে অনুসরণ করছে বলে জানিয়েছেন ব্লেসা, 'ক্রিস্তিয়ানো আমাকে অনেক সাহায্য করে কারণ, এখন আর তাকে শেখানোর কিছুই নেই আমাদের, কিন্তু নিজের চারিদিকে সে একটি শিক্ষালয় গড়ে তোলে। সে যা করে, বাকি খেলোয়াড়রাও তা-ই করে কারণ, তার সব কিছুই পারফরম্যান্সের উন্নতির জন্য খুবই ভালো।'

Comments

The Daily Star  | English
political reform in Bangladesh

Pathways to a new political order

The prospects for change are not without hope in Bangladesh.

10h ago