এবার সিশেলসের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ
ম্যাচে দাপট ছিল বাংলাদেশেরই। সুযোগও তৈরি হলো বেশ কিছু। কিন্তু ফরোয়ার্ডরা পারলেন জ্বলে উঠতে। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর সমতায় ফেরার দারুণ কিছু সুযোগও নষ্ট হলো ওই ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায়। ফলে সিশেলসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে গেল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ফিফা টায়ার-১ ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সিশেলসের কাছে ০-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। দুই দলের প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছিল স্বাগতিকরা।
গত শনিবার এই সিশেলসের বিপক্ষে জয় তুলে প্রথমবারের মতো আফ্রিকার কোনো দলের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এদিন পেরে উঠলেন না জামাল ভুঁইয়ারা। ১০ ম্যাচ পর জয়ের স্বাদ পেল সিশেলস।
২০১৯ সালের পর আবার টানা দুই ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যে এদিন নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে বেঞ্চে রেখে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তার পরিবর্তে চার বছর পর রবিউল ইসলামকে ফেরান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। আক্রমণভাগে সুযোগ পান সুমন রেজা। কিন্তু কোনো কিছুতেই লাভ হয়নি। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিন ম্যাচের ১৭তম মিনিটেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে মাঠ ছাড়েন রিমন হোসেন। তার জায়গায় প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামেন আলমগীর হোসেন মোল্লা। পাঁচ মিনিট পর ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনি। তার ক্রস থেকে রাকিবের স্লাইডে বলের নাগাল পেলে এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে তপুর থ্রু বল ধরে মজিবুর রহমান জনির নেওয়া শট লক্ষ্যে থাকেনি। প্রথমার্ধের যোগ করার সময়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে তপুর নেওয়া ভলি কোনোমতে ফিস্ট করে ফেরান সিশেলস গোলরক্ষক।
৫৫তম মিনিটে দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন রাকিব। ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে ফাঁকায় থেকেও ক্রসবারের উপর দিয়ে শট নেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর রবিউল ও জনিকে তুলে জামাল ও মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে মাঠে নামান বাংলাদেশ কোচ।
ছয় মিনিট পর সাদউদ্দিনের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় সফরকারীরা। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ড্যারিল লুইসের মাথায় লাথি মারলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পটকিকে লক্ষ্যভেদ করে সিশেলসকে এগিয়ে দেন মাইকেল মানচিনে।
এরপর সুমনকে তুলে এলিটা কিংসলেকে নামান কোচ কাবরেরা। ৭৬তম মিনিটে সোহেল রানার ক্রস ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার শট লক্ষ্যে থাকেনি। চার মিনিট পর সোহেলের ক্রস ডি-বক্সে কিংসলে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলে সমতায় ফিরতে পারতো বাংলাদেশ।
নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জামালের ভলির অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে গেলে হতাশা বাড়ে স্বাগতিকদের। যোগ করা সময়ে ওয়ারেন এরিক মেলিয়ের শট গোলরক্ষক জিকো আটকে না দিলে ব্যবধান বাড়তে পারতো। সে যাত্রা রক্ষা পেলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
Comments