এখনও কেন ছাঁটাই হচ্ছেন না, জানালেন লিভারপুল কোচ

গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ছাঁটাই হয়েছেন চেলসি ও লেস্টার সিটি কোচ। চলতি মৌসুমে তিন কোচের অধীনে খেলতে যাচ্ছে চেলসি। টটেনহ্যামও গত সপ্তাহে কোচ ছাঁটাই করেছে। মৌসুম শুরুর আগে কোচের বদল হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেও। এছাড়াও ইংলিশ লিগে আরও অনেক কোচের রদবদল গত কয়েক মাসে। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।

চলতি মৌসুমে শিরোপাশূন্য থাকার ব্যাপারটা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে লিভারপুলের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বিদায়ের পাশাপাশি ঘরোয়া সব প্রতিযোগিতা থেকেও এক প্রকার ছিটকে গেছে তারা। লিগে তাদের অবস্থান আট নম্বরে। সেরা চারে থেকে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করতে পারবে কি-না এখন সেটাই মূল চ্যালেঞ্জ দলটির।

শনিবার ইতিহাদে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে লিভারপুল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটা তাদের টানা তৃতীয় হার। তাতে ক্লপের চাকুরী কিছুটা হলেও ঝুঁকিতে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে মোটেও দুচিন্তা করছেন না এ জার্মান কোচ। অতীত সাফল্যের কারণেই নিজের চাকুরী নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি।

মূলত সবশেষ ছাঁটাই হওয়া দুই কোচ ব্রান্ডেন রজার্স ও গ্রাহাম পটারের বিদায়ের প্রসঙ্গ টেনে জানতে চাওয়া হয় ক্লপের কাছে। এ জার্মান কোচের প্রতিক্রিয়া, 'আমি এই সম্পর্কে কি বলতে পারি? মনে হয় ঘরের মধ্যে একটা হাতি, আর আমি কেন আজও বসে আছি এই পাগলাটে দুনিয়ায়! (আমি) দাঁড়িয়ে থাকা শেষ মানুষ!'

এরপরই ফিরে আসেন মূল প্রসঙ্গে, 'আমি এই (ছাঁটাই) বিষয়ে সচেতন। আমি অতীতের কারণে এখানে টিকে আছি, আমরা এই মৌসুমে যা করেছি তার কারণে নয়। যদি এটা আমার প্রথম মৌসুম হত তবে কিছুটা ভিন্ন হত। আমি এখানে কিছু দিতে এসেছি। আমি এখানে তাবিজ-কবজ বা দেয়ালে ম্যুরাল বানানোর জন্য আসিনি।'

সবশেষ তিনটি ম্যাচে হারলেও ঠিক এর আগের ম্যাচেই ৭-০ গোলের ব্যবধানে তারা হারিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। এ মৌসুমে যে বোর্নবাউথকে তারা ৯-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে দ্বিতীয় লেগে তাদের বিপক্ষে কোনো গোলই করতে পারেনি। হেরেছে ০-১ ব্যবধানে।

পারফরম্যান্সের এই উত্থান-পতনের কারণ খুঁজে বের করাই এখন মূল লক্ষ্যে ক্লপের, 'আমি এখানে কিছু দিতে এসেছি, আমি এটা নিয়ে শতভাগ নিশ্চিত। আমি জানি গত কয়েক বছরে যা ঘটেছে তার জন্য আমি এখানে আছি। (যদিও) আমি এর উপর নির্ভর করতে পছন্দ করি না। আমরা ছন্দের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছি না। আমি সত্যিই হতাশ তবে এখন আমাদের একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

4h ago