হালান্ডের রেকর্ডের রাতে বায়ার্নকে উড়িয়ে দিল ম্যানসিটি
প্রিমিয়ার লিগে যোগ দিয়েছেন এক মৌসুমও পুরো হয়নি আর্লিং হালান্ড। এরমধ্যেই প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় হিসেবে ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন এ তরুণ। এ লিগের খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল দেওয়ার রেকর্ড এখন তারই। তার রেকর্ডের রাতে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখকে উড়িয়ে দিয়ে সেমি-ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখল ম্যানচেস্টার সিটি।
মঙ্গলবার রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে সিটিজেনরা। হালান্ড ছাড়াও দলের হয়ে একটি করে গোল দিয়েছেন রদ্রি ও বের্নার্দো সিলভা।
তবে মাঝমাঠের দখলে এদিন কিছুটা এগিয়ে ছিল জার্মান ক্লাবটি। ৫৬ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদের। ভালো কিছু আক্রমণও করে। ১২টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে ৪টি। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল মিলেনি। অন্যদিকে ১৭টি শট নিয়ে ৯টি লক্ষ্যে রাখে সিটি।
এদিন অবশ্য রক্ষণভাগে বেশ কয়েকবারই ত্রুটি দেখা দিয়েছে বায়ার্ন শিবিরে। গোলরক্ষক ইয়ান সোমেরের ভুলে ১৪তম মিনিটেই গোল হজম করতে পারতো তারা। সতীর্থের ব্যাকপাস ক্লিয়ার করতে দেরি করলে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন হালান্ড। তবে কোনোমতে বিপদমুক্ত করেন সোমের।
২৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় সিটি। সিলভার কাছ থেকে বল পেয়ে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট গতির এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন রদ্রি। ছয় মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো তারা। ইকাই গুন্দোগানের শট কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক সোমের।
৪৬তম মিনিটে লেরয় সানের শট ঠেকান সিটি গোলরক্ষক এদেরসন। তিন মিনিট পর সানের আরও একটি শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান এ ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। পরের মিনিটে রক্ষণের ভুলে প্রায় গোল হজম করে ফেলেছিল বায়ার্ন। উপোমেকানোর দুর্বল ব্যাকপাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে হলান্ডের পায়ে বল দিয়ে দেন গোলরক্ষক সোমের। তবে তার শট ব্লক করে ইয়াসুয়া কিমিখ।
৫৭তম মিনিটে রুবেন দিয়াসের শট দারুণ দক্ষতায় রক্ষা করেন সোমের। ৭০তম মিনিটে আবারও রক্ষণের ভুল। বক্সের বাইরে বিপজ্জনক জায়গায় বল হারান ডিফেন্ডার উপেমেকানো। বল ধরে ফাঁকায় থাকা সিলভাকে খুঁজে নেন হালান্ড। নিখুঁত হেডে লক্ষ্যভেদ করতে কোন ভুল হয়নি এ পর্তুগিজ মিডফিল্ডারের।
৭৬তম মিনিটে স্কোরশিটে নিজের নাম লেখান হালান্ড। সতীর্থের ক্রস থেকে স্টোনসের হেডে ফাঁকায় পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এ তরুণ। চলতি মৌসুমে এটার তার ৪৫তম গোল। যা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ।
এরপরও গোল করার সুযোগ ছিল সিটির। সুযোগ ছিল বায়ার্নেরও। তবে ফরোয়ার্ডের ব্যর্থতায় গোল মিলেনি তাদের। ফলে বড় হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দলটিকে। আগামী বুধবার রাতে অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় হবে দুই দলের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ।
Comments