আশার আলো দেখছে বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্লাবগুলো
ক্যাসিনো কাণ্ডে সেই ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে আছে দেশের বৃহত্তম বেশ কিছু ক্লাব। কোনোমতে কার্যক্রম চললেও নিজ ক্লাব থেকে বেরিয়ে অনুশীলনে যেতে পারছেন না খেলোয়াড়রা। তবে অবশেষে আশার আলো দেখছে ক্লাবগুলো। ঈদের পর বন্ধ ক্লাবগুলো খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
ঈদের পরে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা আহবান করতে বলেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে বন্ধ ক্লাবগুলো খোলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাসেল জানান, 'দোষীদের শাস্তি অবশ্যই হওয়া উচিত। তবে ব্যক্তির দোষের কারণে ক্লাবগুলোর কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ রাখা সমীচীন নয়।'
'যে সকল ক্লাব বা প্রতিষ্ঠান জড়িত নয়, তারা যাতে তাদের ক্রীড়া কার্যক্রম অচিরেই পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিরা আজ আমার কাছে এসেছেন। তাদের দাবি যে সকল ব্যক্তি এ ন্যক্কারজনক কাজে জড়িত, যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে তাদের শাস্তি হোক। তবে ক্লাবগুলো যেনো তাদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পুনরায় চালু করতে পারে সে বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন,' যোগ করেন রাসেল।
এদিন সকালে বন্ধ ক্লাবগুলো খোলার বিষয়ে বিভিন্ন ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বৈঠক শেষেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাসেল। এ সময়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ ও বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব আব্দুল গাফফার উপস্থিত ছিলেন। অচিরেই ক্লাবগুলোর খুলে দেবার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন তারা।
উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে চার ক্লাব ইয়ংমেন্স ফকিরাপুল, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব ও বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাব। এছাড়া বন্ধ রয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের একাংশ। অবৈধ ক্যাসিনো ও মদের আসর চালানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বন্ধ করে দেওয়া হয় এ ক্লাবগুলো।
Comments