এই চেলসিকে চেনেন না দ্রগবা

চেলসির প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মূল নায়ক তিনি। দলকে জিতিয়েছেন মোট ১২টি মেজর শিরোপা। তার সময়েও ইউরোপে দাপট দেখিয়ে বেড়িয়েছে ব্লুজরা। সেই দিদিয়ার দ্রগবাই চিনতে পারছেন না নিজের সাবেক ক্লাবকে। হারের বৃত্ত ভাঙাই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে ক্লাবটির। এমনকি গোলের দেখা পাওয়াও যেন সোনার হরিণ।
'এটা আর সেই একই ক্লাব নেই। আমি আমার ক্লাবকে চিনতে পারছি না। নতুন মালিক এসেছেন এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গিও নতুন,' ক্যানেল প্লাস দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রচণ্ড আক্ষেপ নিয়েই এমন কথা বললেন দ্রগবা।
আগের দিন ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ০-২ গোলের ব্যবধানে হেরেছে চেলসি। প্রথম লেগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেও একই ব্যবধানে হেরেছিল তারা। ফলে ৪-০ ব্যবধানের এই হারের শিরোপাশূন্য মৌসুম নিশ্চিত হয়ে গেছে নতুন মালিক টড বোহলির অধীনে থাকা ক্লাবটির।
দ্রগবা যখন খেলেছেন তখন ক্লাবটির মালিক ছিলেন রোমান আব্রামোভিচ। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে ক্লাবের মালিকানা ছাড়তে হয় তাকে। নতুন মালিক বোহলির অধীনে যাওয়ার পর থেকেই ক্লাবটির পারফরম্যান্স নিম্নমুখী। অথচ গত গ্রীষ্ম ও শীতের দল-বদলে সাড়ে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে ক্লাবটি। প্রথম দলে এখন খেলোয়াড় রয়েছে ৩০ জন।
কিন্তু এতো খরচের পরও মাঠের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। যে কারণে টমাস টুখেল ও গ্রাহাম পটারের মতো কোচ এ মৌসুমের মাঝেই ছাঁটাই হয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে আনা হয়েছে ক্লাব কিংবদন্তি ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডকে। তবে তার অধীনে জয় তো দূরের কথা হারও এড়াতে পারেনি দলটি। ১১৮ বছরের ইতিহাসে প্রথম কোচ হিসেবে হেরেছেন চারটি ম্যাচেই।
চেলসির এ বিশাল বহর পরিচালনা করা যে কারো জন্যই কঠিন বলে মনে করেন দ্রগবা, '৩০ জন খেলোয়াড়ের একটি ড্রেসিং রুম পরিচালনা করা কঠিন, সেটা যেকোনো কোচই হোক না কেন। আব্রামোভিচ যুগের সঙ্গে যদি তুলনা করার চেষ্টা করি, সেখানে অনেক খেলোয়াড় ছিল, তবে পছন্দগুলো খুবই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে করা হয়েছিল।'
Comments