আর্সেনালকে গুঁড়িয়ে শিরোপার স্বপ্ন উজ্জ্বল করল ম্যান সিটি

শিরোপা ধরে রাখার জন্য সিটিকে এখন আর অন্য কারও দিকে তাকাতে হবে না। তাদের ভাগ্য রয়েছে নিজেদের হাতের মুঠোয়।
ছবি: এএফপি

শিরোপার দৌড়ে অঘোষিত ফাইনাল হয়ে ওঠা উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি করল রাজত্ব। পুরোটা সময় আক্রমণের ঝাঁজ দেখিয়ে তারা দিশেহারা করে ফেলল আর্সেনালকে। অনবদ্য নৈপুণ্যে বড় জয়ে ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন উজ্জ্বল হলো তাদের।

বুধবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠে ৪-১ গোলে আর্সেনালকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের পক্ষে জোড়া লক্ষ্যভেদ করেন কেভিন ডি ব্রুইনা। একবার করে বল জালে পাঠান জন স্টোনস ও আর্লিং হালান্ড। সফরকারীদের হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোল আসে রব হোল্ডিংয়ের কাছ থেকে।

হারলেও আসরের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্সেনাল। ৩৩ ম্যাচে মিকেল আর্তেতার শিষ্যদের অর্জন ৭৫ পয়েন্ট। তবে তারা আর স্বস্তিতে নেই। কারণ, শিরোপা ধরে রাখার জন্য সিটিকে এখন আর অন্য কারও দিকে তাকাতে হবে না। তাদের ভাগ্য রয়েছে নিজেদের হাতের মুঠোয়। গানারদের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলে মাত্র ২ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে তারা। ৩১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭৩।

ম্যাচের ৫৩ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখা সিটিজেনরা গোলমুখে শট নেয় ১৪টি। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল নয়টি। তাদের দাপুটে পারফরম্যান্সের বিপরীতে বিবর্ণ ছিল মৌসুমজুড়ে ছন্দে থাকা আর্সেনাল। গোলমুখে তাদের নেওয়া আটটি শটের মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে।

লিগে টানা সপ্তম জয়ের দেখা পেল ম্যান সিটি। অন্যদিকে, খেই হারিয়ে ফেলা আর্সেনাল এই নিয়ে টানা চার ম্যাচ রইল জয়শূন্য। আগের তিনটি ম্যাচে ড্র করেছিল তারা। আসরে সিটির বিপক্ষে এই নিয়ে টানা নয় ম্যাচ হারল তারা। শেষবার তারা জিতেছিল ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে।

খেলা শুরুর সপ্তম মিনিটেই সিটির ভক্তদের উল্লাসে কেঁপে ওঠে গোটা স্টেডিয়াম। পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সের বাইরে থেকে কোণাকুণি শটে দলকে এগিয়ে দেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ডি ব্রুইনা। মাঝমাঠে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তার উদ্দেশ্যে বাড়িয়েছিলেন হালান্ড। এরপর বেশ কিছু সুযোগ আসে হালান্ডের সামনে। কখনও আর্সেনাল গোলরক্ষক অ্যারন রামসডেল বাধা হয়ে দাঁড়ান, কখনও শট থাকেনি লক্ষ্যে।

প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইংলিশ ডিফেন্ডার স্টোনস। ডি ব্রুইনার ফ্রি-কিকে দারুণ হেডে জাল কাঁপান তিনি। শুরুতে রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজান। পরে ভিএআরের সাহায্য নেওয়া হলে পাল্টে যায় সেই সিদ্ধান্ত।

বিরতির পর আর্সেনালের ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় জোর ধাক্কা দিতে দেরি করেনি ম্যান সিটি। ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে তৃতীয় গোল আদায় করে নেয় তারা। নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার হালান্ডের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে ডি-বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ে শট নেন ডি ব্রুইনা। রামসডেলকে ফাঁকি দিয়ে বল অতিক্রম করে গোললাইন।

চালকের আসনে বসে পড়ায় আগ্রাসী মনোভাব থেকে কিছুটা পিছিয়ে আসে সিটি। সেই সুযোগে ব্যবধান কমায় আর্সেনাল। ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে গোল করেন হোল্ডিং। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ফের গোলের উৎসব করে সিটি। বদলি নামা ফিল ফোডেনের পাসে হালান্ড ভেদ করেন নিশানা। এতে লিগে তার গোল হলো ৩৩টি। তিনি আছেন গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে।

Comments