আল-আইনকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে শেষ ষোলোয় ম্যানসিটি

মৌসুমটা খুব একটা ভালো যায়নি। থাকতে হয়েছে ট্রফিশূন্য। তবে ক্লাব বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলছে ম্যানচেস্টার সিটি। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে দলটি। ইকায় গুনদোয়ানের জোড়া গোলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইনকে উড়িয়ে দিয়েছে সিটিজেনরা।

আটলান্টার মার্সেডিস-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে আল-আইনকে ৬-০ গোলের বন্যায় ভাসিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথম ম্যাচে উইদাদ এসির বিপক্ষে জয়ের পর এদিন আরও বিধ্বংসী রূপে দেখা গেলো পেপ গার্দিওলার দলকে। তবে 'জি' গ্রুপে শীর্ষে থাকতে হলে এখন তাদের হারাতে হবে জুভেন্তাসকে, অন্যথায় শেষ আটে মুখোমুখি হতে পারে রিয়াল মাদ্রিদের।

ম্যাচ শুরু হওয়ার মাত্র আট মিনিটেই গোলের খাতা খুলে দেন গুনদোয়ান। উদ্দেশ্য ছিল চিপ করা একটি ক্রস, কিন্তু সেটি আল-আইন গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে সরাসরি জালে জড়িয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে আরও একবার নিজের প্রতিভার জানান দিয়ে দুর্দান্ত এক ডিঙ্ক শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন এই জার্মান মিডফিল্ডার।

প্রথমবার মূল একাদশে সুযোগ পাওয়া আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ক্লদিও এচেভেরি বক্সের প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকের মাধ্যমে গোল করেন। তার পাশাপাশি নতুন লেফট-ব্যাক রায়ান এইত-নৌরির অভিষেকও নজর কাড়ে। উলভস থেকে ৩১ মিলিয়ন পাউন্ডে যোগ দেওয়া এই আলজেরিয়ান খেলোয়াড় বাম প্রান্তে দারুণ গতিশীলতা ও প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভোগান্তি তৈরি করেন।

প্রথমার্ধেই ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিটি। এর মধ্যে একটি গোল আসে আরলিং হালান্ডের পেনাল্টি থেকে। ম্যানুয়েল আকাঞ্জিকে ফাউল করার পর ভিএআরের সহায়তায় স্পট-কিকের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামা অস্কার বব কাছাকাছি কোণ থেকে বল জালে জড়ান। আর ফরাসি তরুণ রায়ান চেরকি ক্লাবের হয়ে নিজের প্রথম গোল করেন নিচু ও জোরালো শটে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার সুবাদে এই প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নিয়েছিল আল আইন। তবে সাবেক আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হারনান ক্রেসপোর নেতৃত্বে শিরোপা জেতা দলটি বর্তমান কোচ ভ্লাদিমির ইভিচের অধীনে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে।

এদিন ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণ আবহাওয়াতেও কোনো প্রভাব পড়েনি ম্যাচে, কারণ আটলান্টার ৭১,০০০ ধারণক্ষমতার ইনডোর স্টেডিয়ামে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে খেলা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

The life cycles of household brands

For many, these products are inseparable from personal memory

14h ago