পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ, ১১ কোটি টাকা জরিমানার শঙ্কায় নেইমার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ উঠলে তা নজরে পড়ে রিও দি জানেইরো কর্তৃপক্ষের। পরে তারা নেইমারের প্রাসাদসম বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নিয়ম লঙ্ঘন খুঁজে পায়।

ব্রাজিলের রিও দি জানেইরো প্রদেশে নেইমারের একটি প্রাসাদসম বাড়ি রয়েছে। সেখানে নতুন একটি স্থাপনার নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেটা প্রমাণিত হলে অন্তত ১০ লাখ ডলার জরিমানা হতে পারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১১ কোটি টাকা।

শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর প্রকাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ উঠলে তা নজরে পড়ে রিও দি জানেইরো কর্তৃপক্ষের। পরে তারা নেইমারের এই প্রাসাদসম বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নিয়ম লঙ্ঘন খুঁজে পায়। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে জলাশয়ে চলাচলের গতিপথ বদলে দেওয়া ও নদী থেকে অনুমোদন ছাড়া পানি উত্তোলন করা। পাশাপাশি অনুমতি ছাড়া সৈকতের বালি ব্যবহার এবং পাথর ও মাটি তোলা দেখতে পেয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মেয়রের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপটি হবে খুঁজে পাওয়া অনিয়মগুলো মূল্যায়ন করে জরিমানা ধার্য করা। ধারণা করা যাচ্ছে, পরিবেশগত ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে সেটা ৫০ লাখ ব্রাজিলিয়ান রিয়ালের (১০ লাখ ডলারের বেশি) কম হবে না।'

স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তারা যখন স্থাপনা পরিদর্শনে যান, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন নেইমারের বাবা নেইমার দা সিলভা সান্তোস। ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে তাকে কর্মকর্তাদের সঙ্গে তর্কে জড়াতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে গ্রেফতার করার হুমিক দিলেও সেটা করেনি কর্তৃপক্ষ। এএফপি গোটা বিষয় নিয়ে নেইমারের মুখপাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি।

তারকা ফুটবলার নেইমার ২০১৬ সালে এই বিলাসবহুল সম্পত্তিটি কেনেন। এটি রিও দি জানেইরো শহর থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে মাঙ্গারাবিতায় অবস্থিত। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ১০ হাজার বর্গমিটার (আড়াই একর) জায়গা জুড়ে বিস্তৃত বাড়িটিতে হেলিপ্যাড, স্পা ও জিম আছে।

চোটের কারণে প্রায় চার মাস ধরে মাঠের বাইরে ৩১ বছর বয়সী নেইমার। গত মার্চে কাতারের দোহায় তার ডান গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার করানো হয়। তিনি এখন আছেন সেরে ওঠার প্রক্রিয়ার মধ্যে। ফরাসি ক্লাব পিএসজি ছেড়ে আগামী মৌসুমে তার নতুন ঠিকানায় পাড়ি জমানোর গুঞ্জন চলছে।

Comments