হালান্ডের জোড়া গোলে বার্নলিকে হারিয়ে শুরু ম্যানসিটির
ইতিহাস গড়ার হাতছানি ম্যানচেস্টার সিটির সামনে। প্রথম দল হিসেবে টানা চারটি প্রিমিয়ার লিগ জয়ের সামনে তারা। আর সেই মিশনে শুরুটা দারুণ করেছে তারা। গত মৌসুমের গোল্ডেন বুট জয়ী আর্লিং হালান্ডের জোড়া গোলে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে উঠে আসা বার্নলিকে উড়িয়ে দিয়েছে সিটিজেনরা।
শুক্রবার রাতে টার্ফ মুরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরের অভিষেক ম্যাচে বার্নলিকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথমার্ধেই জোড়া গোল হালান্ডের সঙ্গে দ্বিতীয়ার্ধে অপর গোলটি করেন রদ্রিগো।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে সিটি। এগিয়ে যেতে পাঁচ মিনিটও সময় নেয়নি তারা। চতুর্থ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন হালান্ড। ডান প্রান্ত থেকে কর্নার নেওয়ার পর ঘুরে ফিরে বল চলে আসে কেভিন ডি ব্রুইনার কাছে। তার নেওয়া ক্রসে হেডে গোলমুখে বল রাখেন রদ্রি। প্রথম ছোঁয়ায় অসাধারণ ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠান হালান্ড।
২৩তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় সিটি। চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা ডি ব্রুইনা আবারও চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মাতেও কোভাচিচ। ডি ব্রুইনার মাঠ ছাড়ের পর মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ কিছুটা হারিয়ে ফেলে সিটি। দুই মিনিটের মধ্যে দারুণ দুটি সুযোগ মিলে বার্নলির। তবে তা থেকে সুবিধা আদায় করে নিতে পারেনি স্বাগতিকরা।
উল্টো ফের স্বাগতিকদের চেপে ধরে ৩৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সফরকারীরা। ডি বক্সে হুলিয়ান আলভারেসের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক কোণাকোণি শটে লক্ষ্যভেদ করে হালান্ড। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এটি তার শততম গোল। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে করেছিলেন ৬৩টি গোল। আর সিটির হয়ে করলেন ৩৭টি।
৭৫তম মিনিটে দলের তৃতীয় গোলটি করেন রদ্রি। কর্নার থেকে গোলমুখে জটলা তৈরি হলে ফাঁকায় বল পেয়ে যান এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। জোরালো শটে জাল খুঁজে নিতে কোনো ভুল হয়নি তার। এরপর গোল করার সুযোগ ছিল তাদের। সুযোগ ছিল বার্নলিরও। তবে তা থেকে গোল আদায় করতে না পারলে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সিটি।
তবে শেষ দিকে ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা। ম্যাচের যোগ করা সময়ে কাইল ওয়াকারকে বিপজ্জনক ট্যাকল করে লাল কার্ড দেখেন আনাস জারোরি। প্রথমে অবশ্য হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
Comments