লুকাকুর সঙ্গে কোনো তিক্ততা নেই দিবালার

ইন্টার মিলানের সঙ্গে চুক্তিটা প্রায় পাকাপাকি হয়ে গিয়েছিল পাওলো দিবালার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই চুক্তি থেকে সরে আসে নেরারুজ্জিরা। কারণ চেলসি থেকে আবারও ধারে রোমেলু লুকাকুকে হুট করেই পেয়ে যায় তারা। এরপর জোসে মরিনহোর ডাকে দিবালা যোগ দেন এএস রোমায়। কিন্তু ভাগ্যের এমনই লিখন রোমায় সেই লুকাকু এখন এই আর্জেন্টাইন তারকার সতীর্থ।

রোববার রাতে এম্পোলির বিপক্ষে ৭-০ গোলের বিশাল জয়ের দিনে রোমার জার্সিতে একই সঙ্গে মাঠে নামেন লুকাকু ও দিবালা। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু সেই পেনাল্টি নিতে আসেন দিবালা। সাম্প্রতিক সময়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অনেকেই ভেবেছিলেন শটটি হয়তো নেবেন লুকাকু। তখন থেকেই শুরু হয় নানা গুঞ্জন।

পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে নেওয়ার ক্ষেত্রে লুকাকুর রেকর্ড বেশ ঈর্ষনীয়। ইন্টার মিলান, চেলসি ও বেলজিয়ামের হয়ে নেওয়া সবশেষ ২৫টি পেনাল্টির সবগুলোই জালে পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরও তিনি মাঠে থাকা অবস্থায় আগের দিন রোমার হয়ে স্পটকিক নেন দিবালা। যদিও ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি এই আর্জেন্টাইনের।

স্বাভাবিকভাবেই শেষ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় উঠে গত মৌসুমের দল-বদলের সেই প্রসঙ্গ। এছাড়া জুভেন্তাসে থাকাকালীন সময়ে লুকাকুর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি। কিন্তু সেসব কিছুই মনে রাখেননি বলে জানান দিবালা। ডিএজেডএনকে এই আর্জেন্টাইন বলেন, 'এখানে কোনো ইগোর ব্যাপার নেই। যে কেউ চাইলে পেনাল্টি নিতে পারে। আমি কিছু নেব এবং কিছু আমার সতীর্থরাও নিবে।'

এমনকি লুকাকু রোমায় আসায় নিজে বেশ খুশি বলেও দাবি করেন দিবালা, 'আমি লুকাকু দলে আসায় খুশি। আজমাউন, এন'ডিকা এবং সমস্ত নতুন স্বাক্ষরে খুশি। আমাদের কিছু জিনিস পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের সবাইকে আরও বেশি আত্মত্যাগ করার চেষ্টা করতে হবে। আমি মনে করি আমরা আজ রাতে এটা করতে পেরেছি।'

আগের দিন ম্যাচের শুরু থেকে খেললেও এর আগে এসি মিলানের বিপক্ষেই রোমার জার্সিতে অভিষেক হয় লুকাকুর। চোট সমস্যায় সেদিন অবশ্য খেলতে পারেননি দিবালা। তবে মাঝে আন্তর্জাতিক বিরতির সময়ে ফিটনেস ফিরে পেয়েছেন বলে জানান এই আর্জেন্টাইন, 'আমি কোচের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আন্তর্জাতিক বিরতির পর শেপে ফিরে আসার চেষ্টা করেছি। আজ আমি ভালো অনুভব করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

JnU students continue blockade for 2nd day

Jagannath Oikyo has declared the university indefinitely closed

6m ago