২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে নিশ্চিত নন মেসি
'আমি আগেও যেটা বলেছি, আগামী (২০২৬ সালের) বিশ্বকাপে অংশ নিব বলে মনে হয় না। এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমার মন এখনও বদল করিনি। বিশ্বকাপটা দেখার জন্য সেখানে (যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা) থাকলে আমার ভালো লাগবে। কিন্তু আমি অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি না,' গত জুনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগে চীনের গণমাধ্যম টাইটান স্পোর্টসের কাছে বলেছিলেন লিওনেল মেসি।
যদিও তখন মেসি পরিষ্কার করেই দিয়েছিলেন যে বিশ্বকাপের মঞ্চে আর দেখা যাবে না তাকে, এবার তার কণ্ঠে শোনা গেল কিছুটা ভিন্ন সুর। ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের বক্তব্য, আগামী বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের বিষয়ে নিশ্চিত নন তিনি।
আর্জেন্টিনার গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মিগেল গারাদোসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মেসি। বৃহস্পতিবার তা ইউটিউবে সম্প্রচারিত হয়েছে। সেখানে বিশ্বকাপজয়ী তারকা বলেছেন, আপাতত তার ভাবনা জুড়ে রয়েছে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় কোপা আমেরিকা, 'আমি জানি না যে আমি সেখানে (২০২৬ বিশ্বকাপ) থাকব কিনা। আমি এটা নিয়ে চিন্তা করছি না। কারণ এটা এখনও অনেক দূরে। কোপা আমেরিকার পর আমরা দেখব কী ঘটে। এটা (বিশ্বকাপে খেলা) নির্ভর করছে আমি কেমন বোধ করছি সেটার ওপর। এখনও তিন বছর বাকি আছে।'
আগামী ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে। আসরটি চলাকালে মেসির বয়স বেড়ে দাঁড়াবে ৩৯ বছর। এরকম বয়সে ফুটবলারদের বিশ্বকাপে খেলার নজির খুব বেশি নেই। তাছাড়া, তিন বছর পর তার ফর্ম ও শারীরিক পরিস্থিতি কেমন থাকবে সেগুলোও বিবেচনার বিষয়। তবে মেসির কথায় বোঝা গেছে, আরেকটি বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনার দুয়ার খোলা রাখছেন তিনি।
গত বছরের ডিসেম্বরে কাতারের মাটিতে তৃতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। এতে তর্কসাপেক্ষে ইতিহাসের সেরা ফুটবলার মেসির অধরা বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়। সাতটি গোল করে তিনি ছিলেন আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। ফ্রান্সের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ফাইনালে তার পা থেকে আসে দুটি গোল। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল দ্বিতীয়বারের মতো জিতে রেকর্ড গড়েন লা পুল্গা।
পিএসজি ছাড়ার পর মেসির পুরনো ক্লাব বার্সেলোনা ও সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন ছিল। তবে তা ঘটেনি। ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিজের গৌরবময় অধ্যায়ের ইতি টেনে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। গত জুলাইতে তার নতুন ঠিকানা হয়েছে মেজর সকার লিগের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামি। ইতোমধ্যে ক্লাবটিকে তাদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দিয়েছেন মেসি।
Comments