ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে ছন্দে সিটি, উদ্বিগ্ন নন গার্দিওলা

ছবি: এক্স

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বাজে ছন্দে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। টানা তিন ম্যাচ ধরে জয়হীন আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা অবস্থান করছে পয়েন্ট তালিকার তিনে। চেলসি ও লিভারপুলের পর টটেনহ্যাম হটস্পারের সঙ্গে ড্র করছে তারা। তবে এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও উদ্বিগ্ন নন ক্লাবটির কোচ পেপ গার্দিওলা।

গতকাল রোববার রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ৩-৩ গোলে টটেনহ্যামের সঙ্গে ড্র করেছে সিটি। অথচ নির্ধারিত সময়ের নয় মিনিট আগে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল তারা। ম্যাচের ৮১তম মিনিটে জাল খুঁজে নিয়ে তাদেরকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দিয়েছিলেন জ্যাক গ্রিলিশ। কিন্তু তাদের উল্লাস টেকেনি শেষমেশ। ৯০তম মিনিটে স্পার্সের দেয়ান কুলুসেভস্কি সমতা টেনে আফসোসে পোড়ান স্বাগতিকদের।

২০১৭ সালের পর এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগে টানা তিনটি ম্যাচে জিততে ব্যর্থ হয়েছে সিটজেনরা। ওই বছরের মার্চ-এপ্রিলে টানা চারটি ম্যাচে জয়হীন ছিল দলটি। টানা তিনটি ড্রয়ের পর তারা হেরেছিল চতুর্থটিতে। শেষ পর্যন্ত ২০১৬-১৭ মৌসুমে তৃতীয় হয়েছিল ম্যান সিটি। এই মুহূর্তেও ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে একই অবস্থানে রয়েছে তারা। ১৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩০। সমান ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল দুইয়ে ও ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনাল শীর্ষে অবস্থান করছে।

ছবি: রয়টার্স

হতাশাজনক ড্রয়ের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শিষ্যদের পারফরম্যান্স নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকার কথা স্বীকার করেননি স্প্যানিশ কোচ গার্দিওলা, 'সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যেমন করেছি, সেটার সঙ্গে এই পারফরম্যান্সের মিল ছিল... আমাদের এরকম পরিস্থিতিতে থাকা এবারই প্রথম নয় যেখানে আমরা ভালো খেলছি কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল আসছে না।'

ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষদিকে রেফারি সাইমন হুপারের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে ছড়ায় উত্তেজনা। নিজেদের বিপক্ষে যাওয়া ওই সিদ্ধান্তে রেফারির প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান গার্দিওলা। মাঠের ভেতরে আর্লিং হালান্ডসহ সিটির খেলোয়াড়রা ঘিরে ধরেন রেফারিকে। তীব্র প্রতিবাদ করায় নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার হালান্ডকে দেখানো হয় হলুদ কার্ড।

বল নিয়ে আক্রমণে উঠতে গিয়ে মাঝমাঠের একটু পেছনে টটেনহ্যামের ডিফেন্ডার এমারসনের চ্যালেঞ্জে পড়ে যান হালান্ড। ফাউলের জন্য অপেক্ষা না করে দ্রুতই নিজেকে সামলে নেন হালান্ড। এরপর লম্বা করে পাস বাড়ান সামনে থাকা ইংলিশ মিডফিল্ডার গ্রিলিশের দিকে। প্রতিপক্ষের তিন খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলে বল নিয়ে গোলমুখের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন গ্রিলিশ। কিন্তু রেফারির আচমকা বাঁশিতে থেমে যেতে বাধ্য হন তিনি। অথচ গোল করার ভালো সুযোগ ছিল তার সামনে।

ছবি: রয়টার্স

মূলত, হালান্ডকে ফাউলের ঘটনায় সিটির পক্ষে ফ্রি-কিকের সিদ্ধান্ত দেন হুপার। আর এখানেই বেঁধেছে গোলমাল। বল দখলে থাকলে কোনো দলের খেলোয়াড় ফাউল হলেও তাদেরকে সাধারণত খেলা চালিয়ে যাওয়ার সুবিধা দেন রেফারি। হুপারকেও শুরুতে দেখা যায় বাঁশি না বাজিয়ে হাত দিয়ে খেলা গতিশীল রাখার ইশারা করতে। তবে গ্রিলিশ যখন গোলমুখে ছুটছিলেন, তখনই আসে ফাউলের সিদ্ধান্ত।

হুপারের সিদ্ধান্তে অবাক হলেও ড্রয়ের পেছনে সেটাকে অজুহাত দাঁড় করাতে চাননি গার্দিওলা, 'টাচলাইনে আমি মাঝে মাঝে মেজাজ হারিয়ে ফেলি। আমার আচরণ ঠিক ছিল না... আমি বলব না যে ওই কারণে আমরা ড্র করেছি। এক পয়েন্ট পাওয়ায় টটেনহ্যাম অবশ্যই খুশি। আমরা তুলনামূলক কম খুশি হলেও আমাদের পারফরম্যান্স সাম্প্রতিক সময়ের মতোই ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

A captain cannot abandon ship, especially when the sea is turbulent

9h ago