১১১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার অবনমন পেলে-নেইমারদের সান্তোসের
১৯৬১ সালে ব্রাজিলের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জানিও কোয়াদ্রসকে দিয়ে পেলেকে 'জাতীয় সম্পদ' ঘোষণা দিয়ে ডিক্রি জারি করা হয়েছিল। বলা হয়ে থাকে পেলেকে ধরে রাখতে এই সব কলকাঠি নেড়েছিল তার ক্লাব সান্তোস। এমনই শক্তিশালী ছিল ক্লাবটি। সেই ক্লাবটি এবার অবনমন হয়ে নেমে গেল ব্রাজিলের দ্বিতীয় স্তরের ফুটবলে। ক্লাবটির ১১১ বছরের ইতিহাসে এমনটা হলো এই প্রথম।
সাও পাওলোর স্তাদিও উরবানো ক্যালদেরিয়ায় বৃহস্পতিবার ব্রাজিলিয়ান সিরিআয় নিজেদের শেষ ম্যাচে ফোরতালেজার কাছে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারে সান্তোস। এই ম্যাচে জয় পেলেই সিরিআয় টিকে থাকতে পারতো তারা। ৩৮ ম্যাচ শেষে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে অবনমন হয়ে যায় দলটির।
অথচ পেলে ছাড়াও এই ক্লাবের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন নেইমারের মতো তারকা ফুটবলার। সক্রেটিস, দুঙ্গা, রবিনহোদের মতো খেলোয়াড়দের উত্থানও এই ক্লাবটি থেকে। বর্তমান সময়ের তারকা ফুটবলার রদ্রিগো, দানিলো সহ আরও অনেকেই খেলেছেন এই ক্লাবের হয়ে।
ম্যাচে শেষে তাই সমর্থকদের রোষানলে পড়তে যাচ্ছিলেন সান্তোসের খেলোয়াড়রা। ম্যাচ শেষ হতে না হতেই মাঠে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। দ্রুতই মাঠ ছেড়ে লকার রুমে অবস্থান নেন খেলোয়াড়রা। পরে স্টেডিয়ামের আশেপাশে বাণিজ্যিক জায়গা ভাংচুর করে ক্ষুব্ধ ভক্তরা। স্থানীয় পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমপক্ষে দুটি বাস এবং বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়িতে আগুন দেয় তারা।
২০ দলের লিগে অবনমন নিশ্চিত আগেই হয়েছিল আমেরিকা মিনেইরো, করিচিবা ও গোয়েসের। শেষ ম্যাচে অ্যাতলেতিকো মিনেইরোর বিপক্ষে ৪-১ গোলে জিতে লিগে টিকে গেছে বাহিয়া। ব্রাগানচিনোর বিপক্ষে ২-১ গোলে বেঁচে যায় ভাস্কো দা গামাও। ফোরতালেজার বিপক্ষে জিতলে টিকে থাকতো সান্তোসও। কিন্তু হেরে যায় তারা।
মূলত পেলের কারণে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পায় সান্তোস। তার সময়ে ১০টি স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে ৬টি ব্রাজিলিয়ান লিগ শিরোপা জিতে দলটি। ১৯৬২ ও ১৯৬৩ সালে দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খ্যাত কোপা লিবের্তাদোরেসও জিতে দলটি। সে দুই বছরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপও জিতেছিল তারা। এরপর ২০১১ সালেও কোপা লিবের্তাদোরেস জিতেছিল সান্তোস।
Comments