মেসিদের না বলে দিলেন রোহো

বোকা জুনিয়র্সেই থাকছেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্কোস রোহো।

রক্ষণভাগের শক্তি বাড়াতে নতুন মৌসুমে একজন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারের তালাশে রয়েছে ইন্টার মায়ামি। সেই লক্ষ্যে লিওনেল মেসির জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ বোকা জুনিয়র্সের ডিফেন্ডার মার্কোস রোহোকেও চেয়েছিল মেজর সকার লিগের (এমএলএস) ক্লাবটি। তবে তাদের না বলে দিয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার।

নতুন মৌসুমের জন্য এরমধ্যেই মেসির বার্সেলোনা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজকে দলভুক্ত করেছে মায়ামি। এরপর তারা নজর দিয়েছিলেন বোকা জুনিয়র্সের দুই সেন্টারব্যাক রোহো ও ক্রিস্তিয়ান মেদিনার দিকে। রোহোকে মানাতে কল দেন স্বয়ং মেসিও। তবে, 'আমি এখানেই থাকছি,' বলে মেসেজ করে নিজের সিদ্ধান্তের কথা বোকার বস হুয়ান রোমান রিকুয়েলমেকে জানিয়েছেন রোহো।

৩৩ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারকে অবশ্য বোকাও ছাড়তে চায় না। তার সঙ্গে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে দলটির। তার উপর দলটির অধিনায়কও রোহো। তার এমন বার্তায় শুধু ইন্টার মায়ামি নয় ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকেও পিছু হটতে হচ্ছে। এই ডিফেন্ডারকে চেয়েছিল তারাও।

মায়ামিতে মেসি যোগ দেওয়ার পর তার পথ ধরে আসেন বার্সেলোনার দুই সতীর্থ সের্জিও বুসকেতস ও জর্দি আলবা। কদিন আগেই যোগ দেন সুয়ারেজ। তবে আর্জেন্টাইন সতীর্থ রোহোকে পাওয়া সহজ হবে না তা তখনই জানিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন সাংবাদিক হার্মান কাস্তিলো। বড় কোনো অবিশ্বাস্য প্রস্তাব ছাড়া সোনালী-নীল জার্সির মায়া ছাড়বেন না বলেই জানান তিনি।

২০১৪ বিশ্বকাপ দিয়ে বিশ্ব ফুটবলে নজরে আসেন রোহো। তবে আর্জেন্টাইন ভক্তদের মনে আলাদা করে জায়গা করে নেন ২০১৮ বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে শেষ সময়ের গোলে। সেই গোলেই নকআউট পর্বে জায়গা পেয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা। সেবারের নজর কাড়া পারফরম্যান্সে তাকে কিনে নেয় ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে ইউরোপে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি তিনি।

ম্যানইউ ছেড়ে ২০২১ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে বোকায় যোগ দেন রোহো। চলতি মৌসুমটা অবশ্য ভালো কাটেনি তার। ইনজুরির কারণে প্রায় পুরো সময়টাই থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে। গত ১৪ মাসের মধ্যে ৮ মাসই ছিলেন বাইরে। লিগে খেলতে পারেননি কোনো ম্যাচ। তবে কোপা লিবার্তোদেরেস এবং কোপা আর্জেন্টিনায় ১৬টি ম্যাচ খেলেছেন অধিনায়ক।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

9h ago