'আমি এটা ভালোবাসি'- শিষ্যদের বিবাদ নিয়ে বললেন আর্সেনাল কোচ
শিষ্যদের মধ্যে যখন তর্ক-বিতর্ক যখন আগ্রাসী পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখন স্বাভাবিকভাবেই তা বড় দুশ্চিন্তার বিষয় কোচদের জন্য। কিন্তু আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা বলছেন ভিন্ন কথা। ম্যাচ শেষে তার দুই শিষ্য ওলেকজান্দার জিনচেঙ্কো ও বেন হোয়াইটের মধ্যকার বিবাদ পছন্দ করেছেন তিনি!
ঘটনাটি ঘটেছে আগের দিন নটিংহ্যাম ফরেস্টের ২-১ গোলে জয়ে তুলে নেওয়া ম্যাচের শেষে। সিটি গ্রাউন্ডে ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই মাঠের এক প্রান্তে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন আর্সেনালের দুই খেলোয়াড় জিনচেঙ্কো ও হোয়াইট। সতীর্থরা তাদের সরিয়ে দিলেও তর্ক চলছিল তাদের মধ্যে। এরপর কোচ আর্তেতা এসেও তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
সে ঘটনায় দুই খেলোয়াড়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলাদা কথা বলতে দেখা যায় আর্তেতাকে। প্রথমে জিনচেঙ্কোকে বোঝান, এরপর হোয়াইটকেও শান্ত করার চেষ্টা করেন এই কোচ। সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে বিষয়টি। সেখানে বিস্ময়করভাবে কোচ আর্তেতা বলেন, 'আমি এটা (শিষ্যদের বিবাদ) ভালোবাসি।'
তবে কেন ভালোবাসেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই কোচ, 'আমি এটা ভালোবাসি কারণ তারা একে অপরের কাছ থেকে আরও বেশি দাবি করে। তারা যেভাবে (গোল) হজম করেছে তাতে তারা খুশি নয় এবং তারা কেবল এটি সমাধান করার চেষ্টা করছে। এটা একটু উত্তপ্ত ছিল কিন্তু এর মানে আমরা যেভাবে খেলেছি সেটা যথেষ্ট নয়, ফলাফলটা বড় হতে হবে এবং ক্লিন শীট থাকতে হবে।'
নটিংহ্যামের বিপক্ষে আগের দিন গোল পেতে ঘাম ছুটে যায় আর্সেনালের। ৬৫তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। সাত মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান বুকোয়া সাকা। তবে ৮৯তম মিনিটে একটি গোল শোধ করে ম্যাচে ফিরে এসেছিল স্বাগতিকরা। এরপরও একটি দারুণ সুযোগ ছিল তাদের। গোলরক্ষক দাভিদ রায়া ঝাঁপিয়ে ধরতে না পারলে সমতায় ফিরতে পারতো দলটি।
মূলত হজম করা গোলটির জন্যই একে অপরকে দায় দিচ্ছিলেন জিনচেঙ্কো ও হোয়াইট। দানিলোর হাওয়ায় ভাসানো ক্রসের ফ্লাইট জিনচেঙ্কো মিস করলে বল পেয়ে যান গঞ্জালো মন্তিয়েল। তার বাড়ানো বল থেকে লক্ষ্যভেদ করেন তাইয়ো আয়োনিয়ি। তখন আবার তার পাশেই ছিলেন হোয়াইট। তাকে এড়িয়েই গোলটি করেন আয়োনিয়ি। তবে একটি গোল শোধ হলেও এরপর আর কোনো বিপদ হয়নি।
Comments