এমবাপের রিয়ালে যাওয়া ঠেকাতে পিএসজির মোটা অঙ্কের প্রস্তাব

স্বদেশি ক্লাবটিতে থেকে গেলে দুই বছরে ১৬০ মিলিয়ন ইউরো পাবেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
ছবি: এএফপি

নতুন করে শুরু হয়েছে কিলিয়ান এমবাপের রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার গুঞ্জন। তবে ফরাসি স্ট্রাইকারকে ধরে রাখতে ফের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছে পিএসজি। স্বদেশি ক্লাবটিতে থেকে গেলে দুই বছরে ১৬০ মিলিয়ন ইউরো পাবেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহে ফরাসি গণমাধ্যম লা প্যারিসিয়ান জানায়, চলতি মৌসুম শেষেই রিয়ালে যোগ দেবেন এমবাপে। এরপর বার্তা সংস্থা রয়টার্সও দেয় তার পিএসজি ছাড়ার খবর। এমবাপের ঘনিষ্ঠরা অবশ্য সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে জল্পনা-কল্পনার ইতি ঘটার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে।

স্প্যানিশ গণমাধ্যম দিয়ারিও এএস গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, এমবাপেকে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে পিএসজি। সেটা মেনে নিলে বেতন-বোনাস হিসেবে ১৬০ মিলিয়ন ইউরো অর্থাৎ বিশাল পরিমাণ অর্থ তার পকেটে ঢুকবে। এমবাপের সঙ্গে পিএসজির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ রয়েছে আগামী ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। গত ২০২২ সালের মেতে তিন বছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছিল দুই পক্ষ।

সেবার স্প্যানিশ পরাশক্তি রিয়ালে যাওয়া প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল ২৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকারের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ইউ-টার্ন নিয়েছিলেন তিনি। তার ওই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রিয়ালের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ।

স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, এবার রিয়ালে যোগ দিতে হলে এমবাপেকে বেতন কমাতে হবে। তিনি যা দাবি করছেন, সেটার অর্ধেকের বেশি অর্থ দিতে রাজী নয় লস ব্লাঙ্কোসরা। কারণ এমবাপের চাওয়া মেনে নিলে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও জুড বেলিংহ্যামের মতো তারকা বেতনের দিক থেকে তার অনেক পেছনে পড়ে যাবেন।

শেষ পর্যন্ত জল কোনদিকে গড়ায় তা জানতে ফুটবলপ্রেমীদের থাকতে হচ্ছে অপেক্ষায়। তবে আপাতত পিএসজির জন্য আনন্দের সংবাদ হলো, গোড়ালির চোট থেকে সেরে উঠেছেন এমবাপে। আজ শনিবারই মাঠে ফিরতে পারেন তিনি। বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত দুইটায় ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে লিলের মুখোমুখি হবে তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Banks mostly gave loans to their owners rather than creditworthy borrowers

Bangladesh’s banking sector was not well-managed in recent years. Banks mostly gave loans to their owners, rather than to creditworthy entities. Consequently, several banks are now in difficulty.

11h ago