অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে লড়াই করে হারল বাংলাদেশ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রতিপক্ষ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। যাদের বিপক্ষে আগের তিন লড়াইয়ে প্রতিবারই ছয় মিনিটের মধ্যেই গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ। সবশেষ দুই দলের লড়াইয়ে তো লাল-সবুজ জার্সিধারীদের সাত গোলের মালা পরিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ঘরের মাঠে সেই দলটির বিপক্ষে দারুণ লড়াই করে হেরেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার বসুন্ধরার কিংস অ্যারেনায় ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ০-২ গোলের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে কুসিনি ইয়াঙ্গির গোলে হার নিশ্চিত হয়ে যায় হ্যাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যদের।

এই জয়ে 'আই' গ্রুপে ৫ ম্যাচের প্রতিটি জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। সমান ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১। ঘরের মাঠে লেবাননের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে পয়েন্টটি পেয়েছিল জামাল ভুঁইয়ারা। একই সঙ্গে ঘরের মাঠে সব ম্যাচ শেষ হলো বাংলাদেশের। শেষ ম্যাচে লেবাননের মাঠে খেলবে দলটি।

দুই দলের শক্তির পার্থক্য অনেক। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৬০ ধাপ এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ কাতার বিশ্বকাপেও খেলেছে সকারুরা শেষ ষোলোতে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে লড়াই করেছেন প্রায় সমান তালে। সেই দলটির বিপক্ষে দুই গোলের ব্যবধানে হার কিছুটা সন্তোষজনকই বাংলাদেশের জন্য।

আগের রাতের পর এদিন সকালেও টানা বর্ষণ হওয়ায় আউটফিল্ড ছিল ভেজা। যে কারণে ঠিকঠাকভাবে বল নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি সকারুরা। এছাড়া দিনের আলোও খেলা হওয়ায় তাপমাত্রাও ছিল কিছুটা বেশি। যেখানে কিছুটা হলেও ভুগেছে অস্ট্রেলিয়ানরা। তার সঙ্গে তিন সেন্টার ডিফেন্ডার নিয়ে গড়া রক্ষণে দারুণ লড়াই করে বাংলাদেশ।

স্বাভাবিক খেলা প্রদর্শন করতে না পারলেও ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই চাপ প্রয়োগ করে খেলে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম মিনিটেই গোল পেতে পারতেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক জ্যাকসন আরভাইন। ১২তম মিনিটেও ফাঁকায় সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ১৭তম মিনিটে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মিচেল ডিউক। তবে ভাগ্য সঙ্গ দেয় বাংলাদেশকে।

তবে ৩০তম মিনিটে উল্টো দুর্ভাগ্য নেমে আসে বাংলাদেশ শিবিরে। প্রায় ৩০ গজ দূরে থেকে নেওয়া আইডিন রাস্টিকের শট ডিফেন্ডার মেহেদী হাসান মিঠুর পায়ে লেগে দিক বদলে চলে যায় জালে। অন্যথায় সমতায় থেকেই হয়তো বিরতিতে যেতে পারতো লাল- সবুজ জার্সি ধারীরা।

প্রতিপক্ষের নিয়মিত আক্রমণ সামলে মাঝেমধ্যেই আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন মোরসালিন-রাকিবরা। বেশ কয়েকবার ফাঁকায় বলও পেয়ে গিয়েছিলেন তারা। তবে অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে শেষ হয়েছে তাদের চেষ্টা। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের গতির সঙ্গে পেরেই ওঠেনি তারা।

দ্বিতীয়ার্ধেও প্রায় একই ধারায় খেলতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররাও ভালো লড়াই করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৬২তম মিনিটে সেই রক্ষণের ভুলে দ্বিতীয় গোল হজম করে বাংলাদেশ। ডান প্রান্তে থাকা কুসিনি ইয়াঙ্গিকে মার্ক করতে পারেননি মিঠু। জর্ডান বোসের ক্রস থেকে ইয়াঙ্গি হেড নেওয়ার আগে পড়ে যান মিঠু। ফাঁকায় বল পেয়ে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড।

এরমধ্যেই বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। চোটের কারণে বাংলাদেশের জার্সিতে শেষ দুই ম্যাচ খেলতে না পারা তারিক কাজী ফেরার ম্যাচেও চোটে পড়েন। অস্বস্তি বোধ করায় ৬৮তম মিনিটে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে অ্যাডাম টার্গেট। এরপরও ভালো কিছু সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে

Comments

The Daily Star  | English

All 3 major parties backed Yunus' leadership: press secretary

Expressed support for a free, fair, and peaceful election under his administration, says Shafiqul Alam

20m ago