সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার শিরোপা জিতল বাংলাদেশ

নেপালের কাছে গ্রুপ পর্বে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল বাংলাদেশ।
ছবি: বাফুফে

নেপালের কাছে গ্রুপ পর্বে হারের মধুর প্রতিশোধ নিল বাংলাদেশ। দাপুটে ফুটবল খেলে প্রতিপক্ষকে রীতিমতো উড়িয়ে দিল তারা। প্রথমবারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

বুধবার কাঠমুন্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।

কোচ মারুফুল হকের সাজানো মূল একাদশের তিন ফরোয়ার্ডই খুঁজে নেন জালের দেখা। দলের পক্ষে জোড়া গোল করেন মিরাজুল ইসলাম। একবার করে লক্ষ্যভেদ করেন রাব্বি হোসেন রাহুল ও পিয়াস আহমেদ নোভা। স্বাগতিকদের হয়ে ব্যবধান কমান সমীর তামাং।

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের যুব পর্যায়ে বাংলাদেশের ছেলেদের এটি প্রথম শিরোপা। প্রতিযোগিতার ষষ্ঠ আসরে এসে শেষ হলো তাদের অপেক্ষার পালা। আগের পাঁচটি আসরের দুটি ছিল অনূর্ধ্ব-১৮ পর্যায়ের, দুটি ছিল অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ও একটি ছিল অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ের।

শ্রীলঙ্কাকে ২-০ গোলে হারিয়ে এবারের আসরে নিজেদের অভিযান শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর নেপালের কাছে ২-১ গোলে হেরে গ্রুপ রানার্সআপ হয় তারা। আর সেমিফাইনালে কঠিন বাধা পাড়ি দিতে হয় তাদের। আগের তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে জিতেছিল ৪-৩ ব্যবধানে।

দুর্দান্ত পারফর্ম করা মিরাজুল নিজে দুবার জাল কাঁপানোর পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেন রাব্বির গোলে। তার জ্বলে ওঠার আগে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও ম্যাচে আধিপত্য করছিল নেপালই। তবে প্রথমার্ধের শেষদিকে বদলে যায় চিত্র। মিরাজুলের নান্দনিক ফ্রি-কিকে লাগাম চলে আসে বাংলাদেশের হাতে। তার জোরালো শট নেপালের গোলরক্ষক জয়রথ শিখের গ্লাভস ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়।

এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস পুঁজি করে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে উজ্জীবিত ফুটবল উপহার দেয় বাংলাদেশ। ৫৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিরাজুলই। আসাদুল ইসলাম সাকিবের পাসে আসাদুল মোল্লা বক্সের ভেতরে হেড করার পর হেডেই গোল করেন তিনি।

৭০তম মিনিটে শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ের ভাগ্য একরকম মুঠোয় নিয়ে ফেলে মারুফুলের শিষ্যরা। বক্সে মিরাজুলের পাসে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে নিশানা ভেদ করেন রাহুল। ১০ মিনিট পর নেপাল ব্যবধান কমায় সমীরের কল্যাণে। উঁচু ক্রস রাজীব হোসেন বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে হেডে গোল করেন তিনি।

নেপালের ফেরার আশা অবশ্য পূর্ণতা পাওয়ার ধারেকাছেও যায়নি। বরং যোগ করা ১০ মিনিটের ষষ্ঠ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় বাংলাদেশ। রাব্বি ছোট ডি-বক্সে বল ফেললে তা কাছ থেকে জালে পাঠান নোভা।

Comments