১৯৯০ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট ও বলজয়ী স্কিল্লাচির চিরবিদায়

জাতীয় দলে ধূমকেতুর মতো আবির্ভূত হয়ে আলোড়ন তোলা স্কিল্লাচি হারিয়েও যান দ্রুতই।
ছবি: এএফপি

কোলন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানতে হলো ইতালির সাবেক ফুটবলার সালভাতোরে স্কিল্লাচিকে। দীর্ঘদিন ভুগে এবার চিরবিদায় নিলেন ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়।

বুধবার পালেরমো শহরে অবস্থিত সিভিকো হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ স্কিল্লাচির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সেখানে গত ৭ সেপ্টেম্বর ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। ২০২২ সালে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল স্কিল্লাচির। পরের বছর অসুখের বিষয়টি প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

স্কিল্লাচি ফুটবল দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি পরিচিত ১৯৯০ বিশ্বকাপে তার চমক জাগানো পারফরম্যান্সের জন্য। সেবার নিজেদের মাঠে আয়োজিত আসরে ইতালি পায় তৃতীয় স্থান। সেমিফাইনালে তারা হেরে যায় আর্জেন্টিনার কাছে। তবে স্কিল্লাচি সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে জেতেন গোল্ডেন বুট। কেবল তাই নয়, বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বলও ওঠে তার হাতে।

ছবি: এএফপি

ওই আসরে সাত ম্যাচ খেলে ৬ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট করেন স্কিল্লাচি। অথচ গ্রুপ পর্বে ইতালির প্রথম ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন না তিনি। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে বদলি নেমে গোল করে সুযোগ কাজে লাগান। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও বেঞ্চ থেকে মাঠে নামতে হয় তাকে। সেদিন গোল না পেলেও চেকোস্লোভাকিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে একাদশে ঠাঁই হয় তার। গোল করে তিনি পাকা করে ফেলেন জায়গা।

জাল খুঁজে নেওয়ার ধারা আসরের বাকি অংশেও বজায় রাখেন স্কিল্লাচি। শেষ ষোলোয় উরুগুয়ে, কোয়ার্টার ফাইনালে আয়ারল্যান্ড, সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি করে গোল করেন এই স্ট্রাইকার।

জাতীয় দলে ধূমকেতুর মতো আবির্ভূত হয়ে আলোড়ন তোলা স্কিল্লাচি হারিয়েও যান দ্রুতই। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পরিধি ছিল স্রেফ দুই বছর। ১৯৯০ সালে অভিষেকের পর ইতালির হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেন ১৯৯১ সালে। সব মিলিয়ে ১৬ ম্যাচে তিনি করেন ৭ গোল।

ক্লাব পর্যায়ে স্কিল্লাচির পরিসংখ্যান তেমন সমৃদ্ধ নয়। দুই ইতালিয়ান পরাশক্তি জুভেন্তাস ও ইন্টার মিলানের হয়ে তিনটি করে মৌসুম খেলেন তিনি। জুভেন্তাসের হয়ে কোপা ইতালিয়া ও উয়েফা কাপ (বর্তমান ইউরোপা লিগ) এবং ইন্টারের হয়ে উয়েফা কাপ জেতেন। দেড় যুগের ক্যারিয়ারে তার বাকি সময় কাটে ইতালির নিচু স্তরের লিগে ও জাপানের লিগে।

Comments

The Daily Star  | English

Telcos’ service falls short of BTRC standard

Mobile operators performed poorly in the telecom regulator’s latest drive test to assess service quality, reinforcing users’ claims of experiencing substandard service.

3h ago