ওলমো-ভিক্তরকে বার্সার স্কোয়াড থেকে বাদ দিয়েছে লা লিগা

সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরমধ্যে নিবন্ধন করাতে না পারলে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়তেই হতো দানি ওলমোকে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। দুই খেলোয়াড়ের (২০ এবং ১৮ নম্বর) কার্ড আর দেখা যাচ্ছে না ক্লাবের অ্যাসোসিয়েশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। তবে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্তেনসেন, যিনি আগস্টে দীর্ঘমেয়াদী ইনজুরির কারণে নিবন্ধন হারিয়েছিলেন, রয়েছেন এই স্কোয়াডে।

২০২৫ সালে পা রাখতেই নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে লা লিগা। গত রাতেই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'লা লিগা জানিয়েছে যে আজ, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, এফসি বার্সেলোনা এমন কোনো বিকল্প উপস্থাপন করেনি যা লা লিগার অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে চলার মাধ্যমে ২ জানুয়ারি থেকে কোনো খেলোয়াড় নিবন্ধনের অনুমতি দেয়।'

গতকাল পুরো দিন ধরে ক্লাবটির ভিআইপি সিট বিক্রির চুক্তি এবং অর্থপ্রদানের গ্যারান্টি সম্পর্কিত লা লিগার অনুরোধকৃত অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করে বার্সেলোনা। তবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোর তথ্য অনুযায়ী, আয় নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। তাই, বার্সেলোনা ক্লাব রাতেই আরএফইএফের কাছে ওলমো এবং ভিক্তরের জন্য নতুন লাইসেন্স চায় তারা।

এদিকে ফেডারেশনের সূত্র বরাতে মুন্দো জানায়, লা লিগার অনুমোদন ছাড়া কোনো লাইসেন্স প্রক্রিয়া করা সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। তবে, বার্সার সূত্র জানিয়েছে ৩ জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত তথ্য তুলে ধরবে যা কিছুটা আশা জাগিয়েছে যে ওলমো এবং ভিক্তরের এই মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে পারবে। তবে, নিশ্চিতভাবেই এখন আর অফিসিয়াল লা লিগা ওয়েবসাইটের স্কোয়াড তালিকায় নেই এই দুই খেলোয়াড়।

গত ৮ আগস্ট আরবি লাইপজিগ থেকে রিলিজ ক্লজের ৫০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ওলমোকে দলে টানে বার্সেলোনা। এছাড়া আরও ছয় মিলিয়ন ইউরো খরচ হয় নানাভাবে। কিন্তু তাকে কেনার পর নিবন্ধন করাতে পারছিল না ক্লাবটি। পরে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্তেনসেনের লম্বা ইনজুরিতে সাময়িকভাবে নিবন্ধন করাতে পারে তারা।

এদিকে চুক্তি অনুযায়ী চাইলেই এখন ফ্রি এজেন্ট হয়ে অন্য কোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারবেন ওলমো। তাকে পেতে মুখিয়েও আছে ইউরোপের অনেক নামীদামী ক্লাব। কিন্তু মুন্দো আরও জানিয়েছে আপাতত বার্সেলোনাতেই থাকছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Panic grips NBR officials

The relief that followed the end of a disruptive strike by tax officials at the National Board of Revenue has quickly given way to anxiety and regret, as the government started a clampdown on those involved.

13h ago