সেরা আট নয়, নকআউট পর্বই মূল লক্ষ্য রিয়ালের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের যাত্রা বরাবরই সমৃদ্ধ ইতিহাসের সাক্ষী। তবে আসরটির নতুন সংস্করণের গ্রুপ পর্বে তাদের পারফর্ম্যান্স প্রত্যাশার তুলনায় কিছুটা নড়বড়ে। সেরা আটে থাকা বেশ কঠিনই হয়ে গেছে তাদের জন্য। তবে কাজটা কঠিন হলেও আশা ছাড়ছেন না কোচ কার্লো আনচেলত্তি। নকআউট পর্বে জায়গা করে নেওয়াই মূল লক্ষ্য তাদের।
আগামীকাল বুধবার রাতে ইউরোপের সর্বোচ্চ আসরের ম্যাচে সলজবার্গের মুখোমুখি হবে রিয়াল। মহা গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচটি রিয়ালের জন্য নির্ধারণ করবে সেরা আটে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনা। ম্যাচের আগে দলের বর্তমান অবস্থা, কৌশল এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন আনচেলত্তি।
নিজের পরিকল্পনায় আত্মবিশ্বাসী রিয়াল কোচ বলেন, 'আমাদের সামনে বেশি সুযোগ নেই... এবং একমাত্র পথ হলো বাকি দুটি ম্যাচ জেতা। নকআউট পর্বে যেতে হলে আমরা সর্বোচ্চটা দেব। এবং আমরা এটা করব।'
আসরের প্রথম পর্ব প্রায় শেষের দিকে। ৩৬ দলের এই পর্বে রিয়ালের অবস্থান ২০ নম্বরে। সামান্য হেরফের হলে নকআউট পর্বে জায়গা করে নেওয়াই চ্যালেঞ্জিং হবে তাদের জন্য। তাই তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়াই মূল লক্ষ্য তাদের। আনচেলত্তির ভাষায়, 'এই ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম পর্বের প্রায় শেষ দিকে চলে এসেছি। আমাদের পয়েন্ট যোগ করতে হবে এবং দেখে নিতে হবে আমরা তালিকার কোথায় আছি।'
বেশ কিছু খেলোয়াড়ের চোটের কারণে মাঝে সময় কিছুটা বাজে সময় কাটিয়েছে রিয়াল। নিজেদের স্কোয়াডকে 'পরিপূর্ণ' বলে আখ্যা দিলেও, রক্ষণভাগের উন্নতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন আনচেলত্তি, 'আক্রমণাত্মকভাবে আমরা ভালো পারফর্ম করছি, তবে রক্ষণভাগে উন্নতির প্রয়োজন। এটি সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।'
এমবাপের পারফরম্যান্স নিয়েও মন্তব্য করেছেন কোচ। মাঠে খুব বেশি চিন্তা করার বিষয়ে এমবাপের উক্তির প্রতিক্রিয়ায় আনচেলত্তি হেসে বলেন, 'তাহলে ওকে কম চিন্তা করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে হবে মৌলিক বিষয়ের দিকে। একজন খেলোয়াড় যখন তার সেরা ফর্ম আনতে পারে না, তখন খেলা জটিল হয়ে যায়। এই ভুল। খেলা সহজ করতে হবে, কঠিন নয়।'
ক্লাব ছাড়ার বিষয়ে জল্পনার জবাবে আনচেলত্তি সরাসরি জানিয়েছেন, তিনি কখনোই রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার সময় নিজে ঠিক করবেন না। 'আমি খুব পরিষ্কার বলতে চাই: আমি কখনোই এই ক্লাব ছাড়ার তারিখ নিজে ঠিক করব না। এটা আমার জীবনে কখনো হবে না। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আমার নয়,' বলেন আনচেলত্তি।
Comments