ভ্যালেন্সিয়ার জালে বার্সার ৭ গোলে ফ্লিকের সেঞ্চুরি

বদলি নামার ছয় মিনিট পর জালের দেখা পেলেন রবার্ট লেভানদোভস্কি। সেই গোলে চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার শততম গোলটি করেন এই পোলিশ ফরোয়ার্ড। গত গ্রীষ্মে কোচ হয়ে অনন্য এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। তবে অল্পের জন্য ছুঁতে পারেননি ৭৫ বছর আগের রেকর্ড।

রোববার রাতে এস্টাদি অলিম্পিকে লা লিগার ম্যাচে ভ্যালন্সিয়ার বিপক্ষে ৭-১ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। দলটির ষষ্ঠ গোলে গোলের সেঞ্চুরি পূরণ হয় ফ্লিকের। এই অসাধারণ পরিসংখ্যান পূরণ হয়েছে মাত্র ৩২ ম্যাচে, যা ২০২৪/২৫ মৌসুমে বার্সার গড়ে প্রতি ম্যাচে ৩.১৬ গোলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রতিফলন।  

মোট ৩২ ম্যাচে হয়েছে ১০১ গোল, যা বার্সার ইতিহাসে এক মৌসুমের দ্বিতীয় দ্রুততম গোলের সেঞ্চুরি। কেবলমাত্র ১৯৫০-এর দশকে হেলেনিও হেরেরার বার্সেলোনা মাত্র ৩১ ম্যাচে এই সংখ্যায় পৌঁছেছিলেন। তবে পেছনে ফেলে দিয়েছেন লুইস এনরিকে, টিটো ভিলানোভা, ডোমেনেক বালমানিয়া, লাডিস্লাও কুবালা এবং জোসেপ গার্দিওলাদের মতো কোচদের।

ট্রেবল জয়ী লুইস এনরিকের একশ গোল পূরণ করতে লেগেছিল ৩৪ ম্যাচ, একই পরিসংখ্যান টিটো ভিলানোভারও। এছাড়া ৩৬ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন ডোমেনেক বালমানিয়া ও লাডিস্লাও কুবালা। জোসেপ গার্দিওলা ৩৭ ম্যাচে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।

বার্সেলোনার এই একশ গোলে জালের দেখা পেয়েছেন ১৫ জন। সবচেয়ে বেশি লেভানদোভস্কি। ২৯ গোল নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন। তার পরে রয়েছেন রাফিনিয়া (২৩ গোল), লামিন ইয়ামাল (৯ গোল), ফেরান তোরেস (৭ গোল), দানি ওলমো (৬ গোল), পেদ্রি ও পাবলো তোরে (৪ গোল করে), জুলস কুন্দে ও ফার্মিন লোপেজ (৩ গোল করে), ইনিয়াগো মার্তিনেজ, গাভি, পাও ভিক্তর, এরিক গার্সিয়া, ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং (প্রতিজন ২টি করে) এবং বালদে (১ গোল)। এছাড়াও দুইটি আত্মঘাতী গোল এসেছে।

বার্সেলোনা লা লিগায় করেছে ৫৯ গোল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২৬ গোল, কোপা দেল রেতে ৯ গোল এবং স্প্যানিশ সুপার কাপে ৭ গোল করেছে। সবচেয়ে বেশি গোল করেছে দলটি রিয়াল মাদ্রিদ ও ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে। দুটি দলের বিপক্ষেই ২টি করে ম্যাচ খেলে গোল দিয়েছেন ৯টি করে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus leaves Dhaka for Ctg on first visit as chief adviser

Prof Yunus departed Hazrat Shahjalal International Airport at 8:45am

27m ago