সৌদি বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ থাকবে অ্যালকোহল

আগামী ২০৩৪ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে সৌদি আরবে। তবে সেই বিশ্বকাপের সময় সৌদি আরবের কোথাও কোনো ধরণের অ্যালকোহল বিক্রি বা গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে না। বলেই জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন বান্দার আল সৌদ।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এলবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিন্স খালিদ বলেন, 'বর্তমানে আমরা অ্যালকোহলের অনুমতি দিচ্ছি না। অ্যালকোহল ছাড়াও আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব—এটি বাধ্যতামূলক নয়। আপনি যদি সৌদি আরব ছাড়ার পর পান করতে চান, সেটি আপনার ব্যাপার, তবে আমাদের দেশে বর্তমানে অ্যালকোহলের কোনো সুযোগ নেই।'

কাতার বিশ্বকাপের আগেও অ্যালকোহল বিক্রির অনুমতি নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। প্রথমে স্টেডিয়ামে অ্যালকোহল বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও টুর্নামেন্ট শুরুর দুই দিন আগে তা বাতিল করা হয়। তবে ভক্তরা নির্দিষ্ট 'ফ্যান জোন' ও হোটেলের বারে অ্যালকোহল পান করতে পেরেছিলেন।

কাতার বিশ্বকাপের মতো সৌদি আরবেও কি হোটেলগুলিতে মদ পাওয়া যাবে কিনা জানতে চান এলবিসির সাংবাদিক। জবাবে প্রিন্স খালিদ স্পষ্টভাবে বলেন, 'না, এখানে একেবারেই অ্যালকোহলের অনুমতি নেই।'

সৌদি আরবের সংস্কৃতির বিষয়ে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত সৌদি আরবের এই রাষ্ট্রদূত বলেন, "আমাদের আবহাওয়ার মতোই, সৌদি আরবও 'শুষ্ক' দেশ। প্রত্যেক দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। আমরা অতিথিদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত, তবে আমাদের সংস্কৃতি বদলানোর ইচ্ছা নেই।"

মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে সমলিঙ্গের সম্পর্কও অবৈধ এবং ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। এই প্রসঙ্গে প্রিন্স খালিদ বলেছেন, 'আমরা সবাইকে স্বাগত জানাবো। এটি শুধুমাত্র সৌদি আরবের ইভেন্ট নয়, এটি বিশ্বকাপ, তাই আমরা যে কেউ আসতে চাইলে তাকে স্বাগত জানাতে চাই।'

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা 'স্পোর্টসওয়াশিং' করছে—অর্থাৎ, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও পরিবেশগত ক্ষতির ইমেজ ঢাকার জন্য ক্রীড়াক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগ করছে। সৌদি আরবে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

Comments

The Daily Star  | English

Political risks threaten to hurt reforms

Bangladesh faces a convergence of political volatility and global trade headwinds that could derail its reform agenda and obstruct recovery from an economic slowdown, the World Bank has said in a new assessment.

10h ago