এখন ভালো অনুভব করছেন মেসি

নিজেদের মাঠের দর্শক ধারণ ক্ষমতা মাত্র পাঁচ হাজার। কিন্তু লিওনেল মেসি আসছেন জেনে ভাড়া করেন ৩০ হাজার ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়াম। কিন্তু সেখানেও ছিল বড় শঙ্কা। কিন্তু ফিটনেস ইস্যুতে ইন্টার মায়ামির হয়ে শেষ তিনটি ম্যাচে ছিলেন না তিনি। স্কোয়াডে থাকলেও এই ম্যাচেও যে খেলবেন তারও ছিলো না নিশ্চয়তা।
শেষ পর্যন্ত মেসি খেলেছেন। লুইস সুয়ারেজ পেনাল্টি থেকে গোল করে মায়ামিকে এগিয়ে নেওয়ার পর, হাভিয়ের মাসচেরানো ৫৬তম মিনিটে মেসিকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেন। এটি ঘরের দর্শকদের জন্য ছিল দারুণ মুহূর্ত, কারণ তারা নিজেদের দলের পাশাপাশি মেসিকে দেখার জন্যও উদগ্রীব ছিলেন।
উচ্ছ্বসিত জ্যামাইকার সমর্থকদের ঢলে এদিন মেসিকে দেখতে আসায় তিল ধারণের জায়গা ছিলো না গ্যালারীতে। মাঠের বাইরেও অপেক্ষায় ছিলেন হাজারো সমর্থক। মেসি হতাশ করেননি। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গোল করে ৪-০ ব্যবধানে মায়ামির সামগ্রিক জয় নিশ্চিত করেন এবং দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলে নেন।
পরবর্তী ধাপে ঘরোয়া প্রতিদ্বন্দ্বী লস আঞ্জেলস এফসির মুখোমুখি হবে মায়ামি। ততদিনে মেসি পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ তিনি আবারও এমএলএস প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে প্রস্তুত। কোচ মাসচেরানো তার অধিনায়ককে ধীরে ধীরে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ম্যাচ শেষে এই কোচ বলেন, 'আমরা জানতাম যে লিও গত তিন-চারটি ম্যাচ খেলেনি। অবশ্যই, আমরা তাকে খেলাতে চেয়েছিলাম, তবে সঠিক মুহূর্ত খুঁজে বের করতে হতো। সে এখন খুব ভালো অনুভব করছে, গোল করেছে, জ্যামাইকান দর্শকরা তাকে দেখতে পেয়েছে—এটা সবার জন্যই দারুণ এক রাত ছিল।'
জ্যামাইকা থেকে ফিরে দুই দিন না যেতেই দ্রুত ম্যাচের মুখোমুখি হতে হবে মায়ামিকে। যেখানে রোববার আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলতে হবে তাদের। ফলে আবারও বেঞ্চ থেকে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে মেসির। এরপর আন্তর্জাতিক বিরতিতে এবং আরও কিছু তারকা ফুটবলার নিজ নিজ দেশের হয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের দায়িত্বে থাকবেন।
Comments