এক রোনালদোকে ছাড়িয়ে আরেক রোনালদোর ঘাড়ে নিঃশ্বাস এমবাপের

ছবি: এএফপি

শুরুটা ভালো না হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদে নিজের অবস্থান মজবুত করছেন কিলিয়ান এমবাপে। বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি ফরোয়ার্ড শুধু সমালোচকদের মুখ বন্ধই করে দিচ্ছেন না, নতুন ক্লাবের হয়ে বিভিন্ন কীর্তিও গড়ছেন।

শনিবার রাতে স্প্যানিশ লা লিগায় ভিয়ারিয়ালের মাঠে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ গোলে জিতেছে আসরের শিরোপাধারী রিয়াল। ম্যাচের ১৭তম ও ২৩তম মিনিটে একাই দুবার লক্ষ্যভেদ করেন দারুণ ছন্দে থাকা এমবাপে। এতে লস ব্লাঙ্কোরা যেমন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ফিরেছে, তেমনি তিনি নিজের অর্জনের মুকুটে নতুন পালক যোগ করেছেন।

রিয়ালের জার্সিতে প্রথম মৌসুমে (চলমান ২০২৪-২৫) সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এমবাপের গোল এখন ৪৪ ম্যাচে ৩১টি। এর মধ্যে লা লিগায় ২৬ ম্যাচে ২০ গোল, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২ ম্যাচে ৭ গোল, ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে ১ ম্যাচে ১ গোল ও অন্যান্য প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫ ম্যাচে ৩ গোল করেছেন তিনি।

এতে এমবাপে ছাড়িয়ে গেছেন দ্য ফেনোমেনন খ্যাত কিংবদন্তি রোনালদোকে। রিয়ালের হয়ে অভিষেক মৌসুমে (২০০২-০৩) সাবেক ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার সব মিলিয়ে করেছিলেন ৪৪ ম্যাচে ৩০ গোল। এমবাপে এখন নিঃশ্বাস ফেলছেন বর্ষীয়ান ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ঘাড়ে। রিয়ালে নিজের প্রথম মৌসুমে (২০০৯-১০) পর্তুগিজ মহাতারকা সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৫ ম্যাচে করেছিলেন ৩৩ গোল।

এমবাপে যে গতিতে এগোচ্ছেন, তাতে রিয়ালের পক্ষে অভিষেক মৌসুমের পারফরম্যান্সে ক্রিস্তিয়ানোকে টপকে যাওয়া তার জন্য সময়ের ব্যাপার। তবে এসব পরিসংখ্যান নিয়ে ভাবছেন না ২৫ বছর বয়সী তারকা। তার কাছে সবকিছুর ঊর্ধ্বে দল।

রিয়াল মাদ্রিদ টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমবাপে বলেছেন, 'তারা এমন দুজন কিংবদন্তি, যারা আলাদা আলাদা যুগকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও কেবলই সংখ্যার ব্যাপার। যদি আমি রোনালদো ও ক্রিস্তিয়ানোর চেয়ে বেশি গোলও করি, এর অর্থ এই নয় যে, আমি তাদের চেয়ে বড় (খেলোয়াড়)।'

এবারের লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় দুইয়ে থাকা ফুটবলার যোগ করেছেন, 'শুধু এটিই বোঝায় যে, (রিয়ালে) আমার প্রথম মৌসুম ভালো কাটছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দলকে শিরোপা জিততে সাহায্য করা।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago