ভক্তের ‘সিউ’ উদযাপনের ম্যাচে হারলেন রোনালদো

ছবি: এএফপি

ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে ঢুকলেন রাসমুস হয়লুন্ড। নয় মিনিট পর ডি-বক্সের ভেতর থেকে গড়ানো শটে খুঁজে নিলেন জাল। গোল করার পর মাঠের একপ্রান্তে গিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার উদযাপন করলেন 'সিউ'।

হয়লুন্ড যখন সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাসে ব্যস্ত, কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। 'সিউ' তারই ট্রেডমার্ক উদযাপন। হতাশায় তখন তার কোমরে দুই হাত। সেই হতাশা আরও বেড়েছে ম্যাচের শেষ বাঁশির পর। কারণ, হয়লুন্ডের ওই গোলই লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উয়েফা নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ডেনমার্কের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে পর্তুগাল।

শৈশব থেকে রোনালদোকে অনুসরণ করে আসছেন হয়লুন্ড। ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসা তৈরির পেছনে সিআর সেভেন খ্যাত তারকার ভূমিকা অসামান্য। তাহলে গোল করে পর্তুগালকে হারানোর ম্যাচে কেন রোনালদোর ঢঙেই উদযাপন করেছেন? হয়লুন্ড স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রোনালদোকে উপহাস করার জন্য 'সিউ' উদযাপন করেননি। বরং যাকে আদর্শ মানেন, তার বিপক্ষে নিজের দল ডেনমার্ককে জেতাতে পারার আনন্দই ছিল কারণ।

রোনালদোকে সবার সেরা হিসেবে উল্লেখ করে ম্যাচের পর হয়লুন্ড স্বদেশি সংবাদমাধ্যম টিভি ২'কে বলেন, 'আমি বিশ্বের সেরা ফুটবলারের বিপক্ষে খেললাম, যিনি আমার আদর্শ এবং গোল করে ম্যাচ জয়ের নায়ক হলাম, এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না!'

নিজেকে রোনালদোর পাঁড় সমর্থক জানিয়ে ২২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড যোগ করেন, 'তাকে উপহাস বা এমন কিছু করার জন্য এটা ("সিউ" উদযাপন) করিনি। আমি সব সময় বলেছি, আমার ও আমার ফুটবল ক্যারিয়ারে তার বিশাল প্রভাব রয়েছে। তার ও পর্তুগালের বিপক্ষে গোল করাটা দারুণ ব্যাপার। আমি ২০০৯ সালে তার খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি ফ্রি-কিক থেকে একটি গোল করেছিলেন। আর তখন থেকেই আমি তার ভক্ত।'

কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রায় পুরোটা সময় নিজেদের ছায়া হয়ে ছিলেন রোনালদোরা। ৪০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড নিজেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। পর্তুগালের ওপর রীতিমতো আক্রমণের বন্যা বইয়ে দেয় স্বাগতিকরা। তবে গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা অনেকটা সময় অক্ষত রাখেন জাল। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের পেনাল্টিও ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন তিনি। যদিও শেষরক্ষা হয়নি হয়লুন্ডের কারণে।

আগামী রোববার রাতে পর্তুগালের মাঠে হবে ফিরতি লেগের ম্যাচ। তাদের সামনে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেমিতে ওঠার সুযোগ ভালোভাবে টিকে আছে মূলত গোলপোস্টের নিচে কস্তার নৈপুণ্যের জন্য। অসাধারণ পারফরম্যান্সে সব মিলিয়ে সাতটি সেভ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

The elephant in the room no one is talking about

Reform of political parties is of urgent need

11h ago