আলোক স্বল্পতায় আবাহনী-কিংস ফাইনাল ম্যাচ স্থগিত

প্রবল বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে মাঝে এক ঘণ্টারও বেশি সময় খেলা রইল বন্ধ। তখনই ধারণা ছিল নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত না হলে খেলা এদিন শেষ নাও হতে পারে। কারণ ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে নেই ফ্ল্যাড লাইটের সুবিধা। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। আলোক স্বল্পতায় স্থগিত রাখা হলো বসুব্ধরা কিংস ও আবাহনী লিমিটেডের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচটি।
মঙ্গলবার ফেডারেশন কাপের ফাইনাল স্থগিত হওয়ার আগে ১-১ গোলে সমতায় ছিল ম্যাচটি। সবমিলিয়ে ম্যাচ গড়িয়েছে ১০৫ মিনিট। তবে ম্যাচের বাকি অংশ কবে অনুষ্ঠিত হবে তা জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
টুর্নামেন্টের বাইলজের ধারা ৭.১ অনুযায়ী, অপ্রত্যাশিত কারণ বা অন্যান্য কোনো কারণ যেমন, খেলার মাঠ অনুপযুক্ত হয়ে যাওয়া, খারাপ আবহাওয়া, ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদির কারণে কোনো ম্যাচ স্বাভাবিক সময় শেষ হওয়ার আগে অথবা অতিরিক্ত সময় চলাকালীন রেফারি খেলা বন্ধ করে দিতে পারেন ৩০ মিনিটের জন্য।
এরপরও ম্যাচ আয়োজন সম্ভব না হলে আরও ৩০ মিনিট সময় স্থগিত করতে পারেন রেফারি। যদি দ্বিতীয় ৩০ মিনিট শেষেও খেলা শুরু না করা যায়, তবে রেফারি ম্যাচটি আনুষ্ঠানিকভাবে 'বাতিল' ঘোষণা করবেন তিনি।
এছাড়াও ম্যাচে ঘটেছে অনেক ঘটনা। ৩৮ মিনিটে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়রা। ডাগআউট থেকেও বেরিয়ে আসেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। তাতে বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮টি হলুদ কার্ড দেখাতে হয় রেফারিকে। শেষ পর্যন্ত মোট ১০টি হলুদ কার্ডের সঙ্গে একটি লাল কার্ডও দেখিয়েছেন রেফারি।
আর ম্যাচের ৪৭ মিনিট অর্থাৎ বিরতির পর দুই মিনিট যেতেই শুরু হয় কাল বৈশাখী ঝড়। তাতে খেলোয়াড়দের নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানোর সংকেত দেন রেফারি সায়মন হাসান। বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস এতটাই তীব্র ছিল যে, উভয় দলের ডাগআউট উড়ে যায়। উৎসাহী দর্শকরাও মাঠে প্রবেশ করেন। পরে স্বেচ্ছাসেবক দল মাঠে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং মাঠ খালি করেন। সবমিলিয়ে তখন ম্যাচ বন্ধ ছিল এক ঘণ্টারও বেশি।
ম্যাচের শুরুতে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ছয় মিনিটেই এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। সাদউদ্দিনের ফ্রি-কিক থেকে দারুণ এক হেডে বল জালে পাঠান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুয়ান এদুয়ার্দো লেসকানো। এর নয় মিনিট পর মোহাম্মদ ইব্রাহিমের গোলে সমতায় ফেরে আবাহনী। বক্সে ঢুকে এমেকার কাটব্যাক থেকে পোস্টের সামনে থেকে আলতো টোকায় জালে জড়ান পাঠান ইব্রাহিম।
তবে নির্ধারিত সময়ে জয় পেতেই পারতো আবাহনী। ৮৯তম মিনিটে এমেকার ক্যাটব্যাক গোলমুখে ফাঁকায় পেয়ে যাচ্ছিলেন সুমন রেজা। যাচ্ছিলেন কারণ বল তার দিকেই পাস দেওয়া হয়েছিল। সুমনও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জোরালো শটের। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে মাঠ জমে থাকা পানিতে বল গেল আটকে। অতিরিক্ত ১৫ মিনিটেও চলে মাঠে জমে থাকা পানির দাপট।
Comments