রোমাঞ্চকর ফাইনালে মোহামেডানকে হারিয়ে বসুন্ধরার 'ট্রেবল'
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ আর উত্তেজনা-বিতর্কের কমতি থাকল না। গ্যালারিতে উপস্থিত ভক্ত-সমর্থকরা উপভোগ করতে পারলেন রোমাঞ্চকর এক লড়াই। সেখানে আশা জাগালেও শেষমেশ ঢাকা মোহামেডানকে পুড়তে হলো আক্ষেপে। ঘটনাবহুল ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতে নিল বসুন্ধরা কিংস। এতে ২০২৩-২৪ মৌসুমে 'ট্রেবল' জয়ের আনন্দেও মাতল বাংলাদেশের ফুটবলের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্লাবটি।
ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে বুধবার অনুষ্ঠিত ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে বসুন্ধরা। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৬৩তম মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমানুয়েল সানডের গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র চার মিনিট বাকি থাকতে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মিগেল ফিগেইরা দামাশেনো সমতায় ফেরান বসুন্ধরাকে। এরপর অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচের ১০৪তম মিনিটে বদলি মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেন গড়ে দেন ব্যবধান।
২০২০-২১ মৌসুমের পর ফেডারেশন কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল বসুন্ধরা। ফলে দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে ঘরোয়া ফুটবলের 'ট্রেবল' (স্বাধীনতা কাপ, ফেডারেশন কাপ ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) জিতল তারা। স্বাধীনতা কাপের ফাইনালেও একই ব্যবধানে তারা হারিয়েছিল মোহামেডানকে। এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমে শেখ রাসেল ইতিহাস গড়েছিল প্রথম ক্লাব হিসেবে 'ট্রেবল' জিতে।
ম্যাচের ১০৪তম মিনিটে কর্নার জয়সূচক গোল পেয়ে যায় কিংস। কর্নারে লাফিয়ে উঠে বল গ্লাভসে নিলেও জমাতে পারেননি মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন হোসেন। ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। সেই সুযোগে সামনে থাকা জাহিদ আলতো টোকায় আলগা বল জালে পাঠান। এই গোল নিয়েই মাঠে ছড়ায় উত্তাপ। মোহামেডানের ফুটবলাররা ফাউলের দাবি তোলেন। রেফারি তা না মানায় তারা মাঠ ছেড়ে যান। দুই কোচও তখন ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করতে থাকেন।
রিপ্লেতে দেখা যায়, সুজন লাফিয়ে ওঠার সময় বসুন্ধরার উজবেকিস্তানি ডিফেন্ডার বোবুরবেক ইউলদাশভ ও মোহামেডানের ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতেও কিছুটা লাফিয়ে উঠেছিলেন। সেসময় বোবুরবেকের সঙ্গে হালকা সংস্পর্শ ঘটেছিল দিয়াবাতের। এরপর দিয়াবাতের সঙ্গে ধাক্কা লাগে সুজনের। কিন্তু সুজনের সঙ্গে বোবুরবেকের কোনো সংস্পর্শই ছিল না। অবশেষে পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হলে ফের খেলা শুরু হলেও মোহামেডান ফিরতে পারেনি ম্যাচে।
Comments