২০২৬ বিশ্বকাপে ভক্তদের 'নিরবচ্ছিন্ন' অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই অভিবাসন নীতি বেশ কড়াকড়ি করা হয়েছে। যে কারণে দেশটিতে পর্যটক প্রবেশও হ্রাস পেয়েছে ব্যাপকভাবে। তবে ট্রাম্প আশ্বাস দিয়েছেন, ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে আসা দর্শকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকবে একটি 'নির্বিঘ্ন ও আনন্দময় অভিজ্ঞতা'।

কানাডা এবং মেক্সিকোর সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজনে প্রস্তুত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ উপলক্ষে হোয়াইট হাউসে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। আলোচনা শেষে ট্রাম্প বলেন, 'আমরা অপেক্ষা করছি বিশ্বের সব ফুটবলপ্রেমীদের স্বাগত জানানোর জন্য। পুরো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে আমরা নিশ্চিত করব, এই টুর্নামেন্ট যেন নিরাপদ, সফল এবং বিদেশি দর্শনার্থীরা যেন প্রতিটি ধাপে নির্বিঘ্ন অভিজ্ঞতা পান।'

যদিও বিভিন্ন সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া অভিবাসন নীতির কারণে ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি পর্যটক প্রবেশ ৫.১ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে। বিশ্ব পর্যটন ফোরাম ইনস্টিটিউট সতর্ক করেছে যে, কঠোর অভিবাসন নীতি ও বৈশ্বিক রাজনৈতিক টানাপোড়েন আন্তর্জাতিক আগমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারাই

এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বিশ্বকাপ টাস্কফোর্সের ভাইস-চেয়ারম্যানও জেডি ভ্যান্স বলেছেন, 'আমরা বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশ থেকে দর্শনার্থীদের আশা করছি। সবাইকে স্বাগত জানাই, উদযাপন করবেন, খেলা উপভোগ করবেন—কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষ হলে সবাইকে নিজের দেশে ফিরতে হবে।'

ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর তার "সম্পূর্ণ আস্থা" রেখে ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো বলেছেন, 'আমেরিকা বিশ্বকে স্বাগত জানাবে। যে কেউ এখানে এসে খেলা উপভোগ করতে ও উৎসব করতে চাইবেন, তা করতে পারবেন।'

এদিকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম জানিয়েছেন, আগামী মাসের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপকে ব্যবহার করা হচ্ছে একটি পরীক্ষামূলক মডেল হিসেবে, যেখানে ২০ লাখ বিদেশি দর্শনার্থী আশা করা হচ্ছে।

'আমরা ইতোমধ্যে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ শুরু করেছি। ক্লাব বিশ্বকাপ আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির একটি পূর্বরূপ হিসেবে কাজ করবে,' বলেন নোম।

কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে বাণিজ্য-সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও বিশ্বকাপ আয়োজনে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান ট্রাম্প। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে বৈঠকের পর বলেন, 'আমাদের সম্পর্ক ভালো। আমি কোনো টানাপোড়েন দেখছি না।'

Comments

The Daily Star  | English

Choking waters: The dangerous decline of oxygen in Dhaka’s peripheral rivers

Bangladesh, often described as a land of rivers, is criss-crossed by more than 230 major and minor waterways.

16h ago