প্রতিপক্ষের জালে ২৮ গোল দিল সাবিনা-মনিকারা

বিওবি ভুটান নারী ন্যাশনাল লিগে নজিরবিহীন এক জয় উপহার দিল বাংলাদেশের তারকা খেলোয়াড়েরা। স্যামতসে জালে ২৮ গোল দিয়েছে পারো ওম্যান্স ফুটবল ক্লাব। যার ২৫টিই দিয়েছেন বাংলাদেশের চার ফুটবলার সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা এবং সুমাইয়া মাতসুশিমা।
প্রতিপক্ষের জাল গোলবন্যার পাশাপাশি ক্লিনশিটও ধরে রেখেছে পারো। ম্যাচের ফলাফল ২৮-০। এর আগে ভুটান নারী ন্যাশনাল লিগে এতো বড় জয় পায়নি আর কোনো দল। ২৮ গোলের মধ্যে ২৫টিই এসেছে এই চার বাংলাদেশি ফুটবলারের পা থেকে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাবিনা খাতুন একাই করেছেন ৯টি গোল, দেখিয়েছেন তার চেনা ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিং ও গোলের সামনে নিখুঁত দৃষ্টিভঙ্গি। ফুটবলীয় সৌন্দর্যের এক অনবদ্য প্রদর্শনী। উপহার দিয়ে মনিকা চাকমা করেছেন ৭ গোল। এছাড়া সুমাইয়া মাতসুশিমা ৫টি এবং ঋতুপর্ণা চাকমা ৪টি গোল করেন।
এদিন ম্যাচের নবম মিনিটে ম্যাচের গোল উৎসব শুরু করেন সাবিনা। এরপর ২০তম মিনিটে মনিকার দ্বিতীয় গোলেই যেন বাঁধ ভেঙে যায়। প্রথমার্ধে মাত্র ২১ মিনিটে ৯টি গোল করে ১০–০ ব্যবধানে বিরতিতে যায় পারো।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশি মেয়েরা আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। সাবিনা ৬৪ মিনিটে তার দিনের ষষ্ঠ গোলটি করেন, যার মাধ্যমে ভেঙে যায় আগের সর্বোচ্চ জয় (১৫–০) রেকর্ড। এরপরও থামেনি গোল বর্ষণ—ম্যাচের শেষ পর্যন্ত আরও ১২টি গোল করে ২৮–০ ব্যবধানে ম্যাচ শেষ করে পারো।
ভুটানের দুই খেলোয়াড় সোনাম ছোমো ১টি ও সোনাম চোকি তামাং দুইটি করে গোল করে এই ঐতিহাসিক স্কোরলাইনকে পূর্ণতা দেন। এর আগে লিগের প্রথম দিন বাংলাদেশি স্ট্রাইকার কৃষ্ণা রাণী সরকার তার দল ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেড-এর হয়ে ২টি গোল করেন, তাদের ৮–০ জয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ গেলেফু অ্যাকাডেমির বিপক্ষে।
অন্যদিকে, থিম্পু সিটি ডব্লিউএফসির হয়ে মারিয়া মান্ডা, সানজিদা খাতুন ও শামসুন্নাহার অংশ নেন, যারা উগ্যেন অ্যাকাডেমিকে ৪–২ গোলে হারিয়ে লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয়।
Comments