এফএ কাপ

ম্যান সিটিকে চমকে দিয়ে এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন প্যালেস

ছবি: এএফপি

গোটা ম্যাচে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়েও জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারল না ম্যানচেস্টার সিটি। ব্যর্থতায় ভরা এবারের মৌসুমে আরও একবার পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের সঙ্গী হলো তীব্র হতাশা। চমক দেখিয়ে তাদেরকে হারিয়ে এফএ কাপে চ্যাম্পিয়ন হলো ক্রিস্টাল প্যালেস।

শনিবার রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ২০২৪-২৫ মৌসুমের ফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে দক্ষিণ লন্ডনের ক্লাবটি। ১৬তম মিনিটে দানিয়েল মুনোজের ক্রসে দারুণ ভলিতে ব্যবধান গড়ে দেন ইংলিশ মিডফিল্ডার এবেরেচি এজে। ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১১৯ বছরের ইতিহাসে এটিই প্যালেসের প্রথম কোনো বড় শিরোপা।

প্রায় ৮৫ হাজার দর্শকের সামনে সবদিক থেকে দাপট দেখায় তারকায় ঠাসা শক্তিশালী সিটি। ৭৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলমুখে ২৩টি শট নেয় তারা। তবে লক্ষ্যে ছিল মাত্র ছয়টি। আর গোলের দেখাও মেলেনি তাদের। অন্যদিকে, পুরো ম্যাচে মাত্র ১২৬টি পাস খেলা প্যালেস গোলমুখে শট নেয় সাতটি। যার মধ্যে লক্ষ্যে থাকা দুটি থেকে একটি গোল আদায় করে উল্লাসে মাতে তারা।

ছবি: এএফপি

এজের পাশাপাশি অসাধারণ পারফর্ম করেন ইংলিশ গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন। সিটির আক্রমণগুলো পূর্ণতা পায়নি তার কারণে। সব মিলিয়ে ছয়টি সেভ করেন তিনি। প্রথমার্ধের ৩৬তম মিনিটে হেন্ডারসন ঝাঁপিয়ে আটকে দেন ওমার মারমুশের স্পট-কিক। ডি-বক্সে বার্নার্দো সিলভা ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনাল্টি পেয়েছিল সিটিজেনরা। শুরুতে আর্লিং হালান্ডকে স্পট-কিকের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেলেও শেষমেশ মারমুশকে বল তুলে দেন তিনি। তবে মিশরীয় ফরোয়ার্ড নষ্ট করেন সুবর্ণ সুযোগ।

বিরতির পর ৫৭তম মিনিটে নিশানা ভেদ করেন মুনোজ। কিন্তু প্যালেসের ব্যবধান দ্বিগুণ করার আনন্দ টেকেনি বেশিক্ষণ। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি অফসাইডের সিদ্ধান্ত দিলে ম্যান সিটি ছাড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ১০ মিনিটে যোগ করা হলেও গোল অধরাই থেকে যায় তাদের।

এর আগে আরও দুবার এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছিল প্যালেস, ১৯৮৯-৯০ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমে। তবে শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি। দুবারই ম্যানচেস্টার শহরের আরেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল দলটির। এবার ঘুচল সেই আক্ষেপ।

Comments

The Daily Star  | English

Money laundering: NBR traces Tk 40,000cr in assets abroad

The National Board of Revenue has identified overseas assets worth nearly Tk 40,000 crore, accumulated with money laundered abroad from Bangladesh, according to the Chief Adviser’s Office.

1h ago