গোলশূন্য অভিষেকেও আনচেলত্তির পাশে ভিনিসিয়ুস-কাসেমিরো

ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে অভিষেক হল কার্লো আনচেলত্তির। প্রত্যাশাটা যেমন ছিল, তেমন হয়নি। না হলেও খেলোয়াড়দের আস্থা ইতিমধ্যেই অর্জন করছেন এই ইতালিয়ান কোচ।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র দিয়ে শুরু হয়েছে আনচেলত্তির ব্রাজিল অধ্যায়। তাৎক্ষণিক কোনো ফল না এলেও রিয়াল মাদ্রিদে তার অধীনে খেলা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বলছেন, কোচকে তার প্রভাব দেখাতে সময় দিতে হবে।

'আমি খুব খুশি যে আনচেলত্তি আমাদের সঙ্গে আছেন। আমি সবসময় বলেছি, উনি আমার দেখা সেরা কোচ। এবার ব্রাজিল জাতীয় দলে তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ আমার জন্য সেরা ব্যাপার,' স্পোর্টটিভিকে বলেন ভিনিসিয়ুস।

'তিনি এখনো তার পরিকল্পনা দেখানোর সুযোগই পাননি। মাত্র দুই-তিন দিনের অনুশীলন হয়েছে,' যোগ করেন এই রিয়াল তারকা।

ম্যাচে অবশ্য বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও সেগুলোর সদ্ব্যবহার করতে পারেনি আনচেলত্তির শিষ্যরা। বক্সে ভিনিসিয়ুসের নিখুঁত পাস নষ্ট করেন রিচার্লিসন। আর কাসেমিরোর দূরপাল্লার জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক ভাল্লে। কাসেমিরোকে জাতীয় দলে ফিরিয়েছেন আনচেলত্তিই।

'নিশ্চয়ই আমাদের উন্নতি করতে হবে, কিন্তু আমরা একটু একটু করে এগোচ্ছি। নতুন কোচের সঙ্গে মাত্র দুই-তিন দিন কেটেছে। দলের গতি ভালো, পরিবেশ দারুণ। আবার দলে ফিরতে পেরে আমি ভীষণ খুশি,' ম্যাচ শেষে বলেন কাসেমিরো।

ইউরোপীয় মৌসুম শেষে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেন ৬৫ বছর বয়সী আনচেলত্তি। তার লক্ষ্য ২০২৬ বিশ্বকাপের বাকি বাছাইপর্ব সফলভাবে পার করে দলকে মূল আসরে তুলতে পারা। গত মার্চে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ গোলে পরাজয়ের পর বরখাস্ত হওয়া দরিভাল জুনিয়রের স্থলাভিষিক্ত হন এসি মিলান ও চেলসির সাবেক এই কোচ।

এই ড্রয়ের ফলে এখন ২২ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্বের চতুর্থ স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ব্রাজিলের পরবর্তী প্রতিপক্ষ তৃতীয় স্থানে থাকা প্যারাগুয়ে, যারা একই দিনে উরুগুয়েকে ২–০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়ার দৌড়ে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করেছে।  লাতিন আমেরিকা থেকে একমাত্র আর্জেন্টিনাই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Industrial output soars, but where are the jobs?

Over the past decade, more and more industries have sprung up across the country, steadily increasing production. But while output rose, factories did not open their doors to more workers.

10h ago