ইউরোপা লিগ জিতেও চাকরি বাঁচাতে পারলেন না তিনি

ছবি: এএফপি

সদ্যসমাপ্ত মৌসুমে দীর্ঘ ১৭ বছরের শিরোপাখরা দূর করে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার। প্রিমিয়ার লিগে ভীষণ করুণ দশা থাকলেও ইউরোপা লিগ জিতে তারা ঠাঁই নিয়েছে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। যার অধীনে এই সাফল্য মিলেছে, বিস্ময় জাগিয়ে তিনি শেষমেশ চাকরি বাঁচাতে পারলেন না।

ইউরোপা লিগ জয়ের মাত্র ১৬ দিন পরই অ্যাঞ্জ পোস্তেকোগলুকে কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করেছে টটেনহ্যাম। শুক্রবার রাতে নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তারা।

৫৯ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ানকে অব্যাহতি দেওয়ার বার্তায় বলা হয়েছে, 'পারফরম্যান্স পর্যালোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিবেচনা করে, এই ক্লাব ঘোষণা করছে যে, পোস্তেকোগলুকে কোচের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে লন্ডনের ক্লাবটি, 'এই ক্লাবে দুই বছর কাজ করা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য আমরা অ্যাঞ্জের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ইউরোপীয় ট্রফি জেতানো তৃতীয় ম্যানেজার হিসেবে তিনি আমাদের ক্লাবের ইতিহাসে কিংবদন্তি কোচ বিল নিকলসন ও কিথ বার্কিনশয়ের পাশে জায়গা করে নিয়েছেন।'

গত মাসের শেষদিকে বিলবাওতে স্বদেশি ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপা লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পার্সরা। দীর্ঘ ৪১ বছর পর কোনো মহাদেশীয় ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা।

তবে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে মৌসুম কাটিয়েছে দলটি। ৩৮ ম্যাচের ২২টিতেই হেরে তারা ছিল ২০ দলের মধ্যে ১৭ নম্বর স্থানে। পয়েন্ট তালিকায় তাদের নিচে ছিল কেবল ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপে নেমে যাওয়া লেস্টার সিটি, ইপসউইচ টাউন ও সাউদাম্পটন।

প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্সই পোস্তেকোগলুর চাকরি হারানোর কারণ, 'যদিও সবশেষ মৌসুমে ইউরোপা লিগ জয় ছিল এই ক্লাবের ইতিহাসের অন্যতম সেরা মুহূর্ত, তবে শুধু এই অর্জনের অনুভূতির ওপর ভিত্তি করে আমরা (তাকে কোচের পদে রেখে দেওয়ার) সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।'

২০২৩ সালে স্কটিশ ক্লাব সেল্টিক থেকে টটেনহ্যামে যোগ দিয়েছিলেন পোস্তেকোগলু। চার বছরের চুক্তি হয়েছিল দুই পক্ষের মধ্যে। তবে দুই বছর যেতেই তাদের সম্পর্কের অবসান ঘটল।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago