১০ জনের দল নিয়েও আলমাদার গোলে আর্জেন্টিনার ড্র

প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়া আর্জেন্টিনার বিপদ আরও বাড়ল দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি এঞ্জো ফার্নান্দেজ লাল কার্ড দেখায়। এরপর মূল অস্ত্র লিওনেল মেসিকে কোচ লিওনেল স্কালোনি তুলে নেওয়ায় হারই চোখ রাঙাচ্ছিল তাদের। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে থিয়াগো আলমাদা জ্বলে ওঠায় পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ঘরের মাঠ বুয়েন্স এইরেসে বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে কলম্বিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। ১৬ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কলম্বিয়া।
২৪তম মিনিটে লুইস দিয়াজের লক্ষ্যভেদে লিড নেয় কলম্বিয়া। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাছাইয়ের প্রথম দেখায় নিজেদের ডেরায় ২-১ গোলে জেতা দলটি আরেকটি জয়ের আশা জাগায় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ৭১তম মিনিটে এঞ্জো সরাসরি লাল কার্ড পেলে সেই স্বপ্ন আরও উজ্জ্বল হয়। তবে ৮১তম মিনিটে আলমাদা ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ায় স্বাগতিকরা হার এড়াতে পারে।
আর্জেন্টিনা বল দখলে দাপট দেখালেও সুযোগ তৈরিতে কিছুটা আধিপত্য করে কলম্বিয়া। সফরকারীরা ১১টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে পাঁচটি। অন্যদিকে, স্কালোনির দলের নেওয়া ১০টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল তিনটি।
অধিনায়ক মেসিকে একাদশে ফিরিয়ে খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। চিলির বিপক্ষে আগের ম্যাচে তিনি মাঠে ঢুকেছিলেন বদলি হিসেবে। এই ম্যাচের প্রথম সুযোগ তার পা থেকে এলেও কলম্বিয়া ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। সেই ধারায় পাল্টা আক্রমণে গোলও আদায় করে নেয় দলটি। কেভিন কাস্তানোর কাছ থেকে মাঝমাঠে বল পান দিয়াজ। এরপর বাম প্রান্ত দিয়ে এগিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন লিভারপুলের ফরোয়ার্ড। সেখানে প্রতিপক্ষের তিন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে চমৎকার শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।
পিছিয়ে পড়ে মরিয়া হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। বিরতির আগে তারা সমতায় ফেরার চেষ্টা করলেও কলম্বিয়ার রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি। তাছাড়া, ৩০তম মিনিটে তাদের একটি গোল হয় বাতিল। কারণ অফসাইডে ছিলেন চেলসির মিডফিল্ডার এঞ্জো।
বিরতির পরও একই তালে খেলতে থাকে স্বাগতিক দল। তবে সুযোগ পেলে সফরকারীরাও ভীতি ছড়াতে থাকে। ৬৮তম মিনিটে মেসির ফ্রি-কিকের পর নিকোলাস গঞ্জালেজের জোরাল শট পোস্টে বাধা পেলে হতাশ হয় আর্জেন্টিনা। তিন মিনিট পর আরও বড় ধাক্কা খায় দলটি। হেড করতে যাওয়া কাস্তানোর মাথায় বুট দিয়ে আঘাত করলে এঞ্জোকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি।
১০ জন নিয়েও হাল ছাড়েনি আর্জেন্টিনা। বরং চাপ আরও বাড়িয়ে সুফল পেয়ে যায় তারা অল্প সময়ের মধ্যে। মেসির বদলি নামা এক্সেকিয়েল পালাসিওস ডি-বক্সের বাইরে খুঁজে নেন আলমাদাকে। লিওঁর উইঙ্গার পায়ের কারিকুরিতে ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর প্রতিপক্ষের দুজনের পায়ের ফাঁক দিয়ে নেন কোণাকুণি শট। দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ালে স্বস্তি মেলে তিনবারের বিশ্বজয়ীদের।
৮৬তম মিনিটে রিচার্দ রিওস কলম্বিয়াকে অবশ্য জয়সূচক গোল প্রায় পাইয়েই দিয়েছিলেন। দিয়াজের ক্রসে তার হেড পোস্টে লেগে ব্যর্থ হয়। বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
Comments