নিকোর আগমনে বদলে যাচ্ছে বার্সেলোনার আক্রমণভাগ

গত মৌসুমে রাফিনিয়াকে লেফট উইংয়ে খেলিয়ে দারুণ সফল হয়েছে বার্সেলোনা। লা লিগার সেরা খেলোয়াড়ই নির্বাচিত হয়েছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। কিন্তু চলতি মৌসুমে নিকো উইলিয়ামসকে দলভুক্ত করতে যাচ্ছে দলটি। তাতে প্রশ্ন উঠেছে, কোথায় খেলবেন রাফিনিয়া? আর কোথায়ই বা খেলবেন দানি ওলমো? 

তবে লা ভাঙ্গুয়ার্দিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বার্সার ক্রীড়া পরিচালক ডেকো নিশ্চিত করেছেন, ফরোয়ার্ড লাইনে নতুন কৌশল বাস্তবায়নের চিন্তাভাবনা করছে বার্সেলোনা। মূলত প্লেমেকার হিসেবে পরিচিত দানি ওলমোকে খেলানো হবে 'ফলস নাইনে'। আর ওলমোর পজিশনে খেলবেন রাফিনিয়া। কেবল লামিন ইয়ামালের স্থানই থাকছে নির্দিষ্ট। 

অবশ্য বিষয়টি নিয়ে আগেই গুঞ্জন ছিল স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলোতে। তবে এবার ডেকো স্পষ্ট করেই বলেন, 'আমরা দানি ওলমোকে ফলস নাইন হিসেবে খেলাতে চাই।'

আর এই কৌশলগত পরিবর্তনের কারণে একাদশে জায়গা কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রবার্ট লেভানদোভস্কি। অথচ গত মৌসুমে ৪২টি গোল করে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। তবে আগস্টে ৩৭ বছরে পা দিতে যাওয়া এই পোলিশ ফরোয়ার্ডের বিকল্প খোঁজার সময় এসেছে বলে মনে করছে বার্সা।

তবে ডেকোর মতে, লেভানদোভস্কির মানের কোনো বিকল্প সরাসরি খুঁজতে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে তাদের। তার ভাষায়, 'রবার্টের মতো মানসম্পন্ন কাউকে খুঁজতে গিয়ে যদি অতিরিক্ত মোহ তৈরি হয়, তাহলে তা কাজে দেবে না।'

যে কারণে বার্সার পরিকল্পনায় এখন গুরুত্ব পাচ্ছে ভূমিকাভিত্তিক প্লেয়ার রোটেশন এবং শক্তির সুষম বণ্টন। ডেকো বলেন, 'ফেরান এখন দিন দিন একজন গুরুত্বপূর্ণ নাম্বার নাইন হয়ে উঠছে। আর নিকো বা লুইস আসলে আমরা নির্দিষ্ট কোনো নাম্বার নাইন ছাড়াও খেলতে পারব।'

দলে উইঙ্গার সংকটও বার্সাকে চিন্তায় ফেলেছে বলে জানান ডেকো। তার ভাষায়, 'আমাদের উইঙ্গার বলতে লামিন ও রাফিনিয়াই আছে, কারণ ফেরান তো এখন অনেকটাই স্ট্রাইকার হয়ে উঠেছে। যখন লামিন বা রাফিনিয়া থাকে না, তখন দলের মানই নেমে যায়। তাই ওই পজিশনে শক্তি বাড়ানো খুব জরুরি। তবে এখানে নাম নির্ভর করবে দামের সঙ্গে গুণগত মানের সমন্বয়ের ওপর।'

ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং প্রসঙ্গে ডেকো সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, 'যে ফ্যাঙ্কিকে আমরা এবার দেখেছি, সেটাই আমাদের কাম্য ফ্যাঙ্কি। আমরা তার সঙ্গে থাকতে চাই। তার চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর আছে, আমরা ধীরে-সুস্থে সব কিছু বিবেচনা করব।'

আনসু ফাতি সম্পর্কে ডেকো খোলামেলা বলেন, 'তার বয়সে ম্যাচ না পাওয়াটা মানায় না। যদি যেতে চায়, তাহলে আমরা কোনো বাধা হব না। মোনাকো আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। সে চাইলে ধারে দেওয়া যেতে পারে, কারণ তার চুক্তি আরও দুই বছরের।'

আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন সম্পর্কে ডেকো জানান, দলে এখন পাঁচজন সেন্টার-ব্যাক রয়েছে, তাই কাউকে ছাড়তেই হবে। 'অতিরিক্ত খেলোয়াড় থাকায় একজনকে বিদায় নিতে হবে। কোচেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হান্সির (ফ্লিক) ডিসিশনই হবে চূড়ান্ত।'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

7h ago