আগুয়েরোর পরামর্শেই ম্যানসিটিতে এচেভেরি

ক্যারিয়ারে দীর্ঘ সময় ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলেছেন সের্জিও আগুয়েরো। ক্লাবটির প্রথম প্রিমিয়ার লিগ থেকে শুরু করে অনেক অর্জনের অন্যতম নায়ক তিনি। স্বাভাবিকভাবেই ক্লাবটির প্রতি আলাদা টান অনুভব করেন তিনি। সেই টান থেকেই হয়তো স্বদেশী তরুণ ক্লাউদিও এচেভেরিকে সিটি যোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন আগুয়েরো।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ১২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে রিভার প্লেট থেকে এচেভেরিকে চার বছরের চুক্তিতে দলে ভেড়ায় ম্যানচেস্টার সিটি। তবে উন্নতির সুযোগ দিতে তাকে আর্জেন্টাইন ক্লাবে ধারে ফেরত পাঠানো হয়। তবে তার প্রতি সিটিজেনদের আগ্রহ দেখে আগুয়েরোর সঙ্গে কথা বলেছিলেন এচেভেরি। আর উত্তরসূরিকে সিটিতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

সিটিতে যোগ দেওয়ার পর এচেভেরি বলেন, 'আমি আগুয়েরোর সঙ্গে কথা বলেছি। আমি জানতাম আর্জেন্টিনা এবং ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যে সম্পর্কের কথা। বিশেষ করে আগুয়েরো অনন্য একজন ফুটবলার। তিনি ম্যানচেস্টার সিটির কিংবদন্তি, কারণ তিনি এখানে যা কিছু অর্জন করেছেন এবং তিনি কতটা অসাধারণ খেলোয়াড় ছিলেন।'

২০২৫ সালের শুরুতে এচেভেরি দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে আর্জেন্টিনার অধিনায়কত্ব করেন এবং দলকে রানার্সআপ করান। এখন ১৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার পেপ গার্দিওলার দলে যোগ দিয়েছেন এবং ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলার জন্য প্রস্তুত।

সিটির হয়ে খেলার স্বপ্নপূরণ নিয়ে বলেন, 'ফুটবল আমার জীবন এবং আমার স্বপ্ন ছিল ইউরোপের সেরা দলের হয়ে খেলা। আজ আমি সেই স্বপ্নের আরও কাছাকাছি। ম্যানচেস্টার সিটি বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। তারা শুধু শিরোপা জেতে না, ফুটবলকে দারুণভাবে খেলে। তারা সবার জন্য এক অনুকরণীয় দল—যারা দেখায় কীভাবে সেরা ফুটবল খেলা উচিত।'

'আমার পরিবার ও আমি এখানে আসতে পেরে গর্বিত। এখন আমার লক্ষ্য কঠোর পরিশ্রম করা, যাতে কোচ ও তার স্টাফদের দেখাতে পারি যে আমি এই দলের জন্য যথেষ্ট ভালো,' যোগ করেন এই তরুণ আর্জেন্টাইন।

২০২৩ সালের জুনে রিভার প্লেটে এচেভেরিকে সিনিয়র দলের হয়ে অভিষেক করান সিটির আরেক সাবেক আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্তিন দেমিকেলিস। রিভারের হয়ে ৪৮ ম্যাচে চার গোল করেন এচেভেরি।

এচেভেরির আগে রিভার প্লেট থেকে একইভাবে ২০২২ সালে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজকে দলে টেনেছিল ম্যানচেস্টার সিটি, জাকে পরবর্তীতে ৮১ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে বিক্রি করে দেয় তারা।

Comments

The Daily Star  | English
political reform in Bangladesh

Pathways to a new political order

The prospects for change are not without hope in Bangladesh.

11h ago