আমি কখনোই মুসিয়ালাকে আঘাত করতে চাইনি: দোন্নারুম্মা

জামাল মুসিয়ালার চোট নিয়ে কোনো রাখঢাক না রেখে প্রকাশ্যে ইতালির অধিনায়ক জিয়ানলুইজি দোনারুম্মার সমালোচনা করেছেন জার্মান গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার। তবে দোন্নারুম্মা জোর দিয়ে বলেছেন, 'আমি কখনোই মুসিয়ালাকে আঘাত করতে চাইনি।'
ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপে পিএসজি বনাম বায়ার্ন ম্যাচ চলাকালে এক সংঘর্ষের ফলে মারাত্মক চোট পান মুসিয়ালা। এক বল প্রতিরোধ করার চেষ্টায় তার সংঘর্ষ ঘটে দোন্নারুম্মার। এই চোটে মুসিয়ালাকে অন্তত পাঁচ মাস মাঠের বাইরে থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনার পর মানুয়েল নয়ার দাবি করেন, দোন্নারুম্মা আঘাতের ঝুঁকি জেনেও সংঘর্ষে গিয়েছিলেন, এক ধরনের মানসিক প্রস্তুতি ছিল যেন। তবে দোন্নারুম্মা পরে ইতালির ক্রীড়া দৈনিক 'গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত'-এ এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেন, 'ঘটনায় আমি আতঙ্কিত। আমি কখনোই মুসিয়ালাকে আঘাত করতে চাইনি।'
তার এজেন্ট এনজো রাইওলাও ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, 'সবকিছু সেকেন্ডের ভেতর ঘটে যায়। একজন গোলরক্ষকের সেভ আর পেনাল্টির ভুল সিদ্ধান্তের মাঝখানে পার্থক্য একটুখানি। জিজিও (দোন্নারুম্মা) আগে বল ধরেছিলেন, এরপর সংঘর্ষটা আর এড়াতে পারেননি।'
'এটা অন্যায় হবে যদি কেউ ভাবে সে ইচ্ছাকৃতভাবে মুসিয়ালাকে আঘাত করেছে। সে তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে এবং আশা করে, সে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবে,' যোগ করেন তিনি।
নয়ার এটাও বলেছিলেন, সংঘর্ষের পর দোন্নারুম্মা যেভাবে হাঁটতে হাঁটতে চলে যান, যেন কিছুই হয়নি, তা মোটেই উপযুক্ত আচরণ ছিল না। এ প্রসঙ্গে রাইওলা বলেন, 'সে আসলে দেখাতে চায়নি যেন কিছুই হয়নি। জিজিও খুব সংবেদনশীল মানুষ। ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা তার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হয়নি। তাই চলে গিয়েছিল, যাতে ডাক্তাররা পুরো মনোযোগ দিয়ে মুসিয়ালার সেবা করতে পারেন।'
'লকার রুমে ঢুকে সে নিজের ফোন চালু করে। সাধারণত সে ম্যাচের এক ঘণ্টা আগে ফোন বন্ধ করে রাখে এবং ম্যাচ শেষে চালু করে। কিন্তু এবার সে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে মেসেজ করে জানায় সে কেঁপে উঠেছে, এবং এটা ইচ্ছাকৃত ছিল না।'
রাইওলা বলেন, 'আমি নয়ারকে বুঝি। যেমন কোর্তোয়া বলেছেন, সতীর্থকে রক্ষা করা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে নয়ার যে বলেছে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আরও ভালো উপায় ছিল—সেটাও সত্য। সবাই আলাদা, সবার প্রতিক্রিয়া আলাদা। গত ডিসেম্বরে জিজিও মোনাকোর এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে তার চোখ হারাতে বসেছিল।'
'এমনকি ২০১৪ বিশ্বকাপে নয়ার নিজেই হিগুয়েইনের সঙ্গে সংঘর্ষে কনুই ব্যবহার করেছিলেন। পরে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন, যদিও তখন তিনি বলেছিলেন দলের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সে রকম করেছেন, চোটের ঝুঁকি জেনেও,' যোগ করেন তার এজেন্ট।
Comments