নারী এশিয়ান কাপ: বাটলার বলছেন, ‘সব কিছুই সম্ভব’

প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপে অংশ নিতে যাওয়া বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে পেয়েছে চীন, উত্তর কোরিয়া ও উজবেকিস্তানকে। পিটার বাটলারের মতে, খুব কঠিন গ্রুপেই পড়েছেন তারা। তবে সেই চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে থাকা বাংলাদেশের প্রধান কোচের বিশ্বাস, সব কিছুই সম্ভব।
আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান কাপের ২১তম আসর। মঙ্গলবার সিডনি টাউন হলে অনুষ্ঠিত ড্র অনুসারে 'বি' গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ প্রতিযোগিতার বর্তমান ও রেকর্ড নয়বারের চ্যাম্পিয়ন চীন। পরের ম্যাচে ঋতুপর্ণা চাকমা-আফঈদা খন্দকাররা মুখোমুখি হবে তিনবারের শিরোপাজয়ী উত্তর কোরিয়ার। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তারা মোকাবিলা করবে উজবেকিস্তানকে।
এবারের আসরে মোট ১২টি দল তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুটি দল সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। তাদের সঙ্গী হবে গ্রুপগুলোতে তৃতীয় স্থান পাওয়া তিনটি দলের মধ্যে সেরা দুটি দল। এই আটটি দলের সুযোগ থাকবে ২০২৭ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠেয় নারী বিশ্বকাপ এবং ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে খেলার।
স্বপ্ন পূরণের পথে কঠিন পাহাড় ডিঙাতে হবে বাংলাদেশকে। তবে শিষ্যদের সাম্প্রতিক উন্নতি আশাবাদী করে তুলেছেন বাটলারকে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, উপভোগের মন্ত্র নিয়ে এগোতে চান, 'এটা খুবই কঠিন গ্রুপ। তবে আমি মুখিয়ে আছি। আমার মনে হয়, এটা মেনে নিয়ে উপভোগ করা উচিত। আমার ও দলের দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ১২ মাস আগে আমরা চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে খেলেছিলাম এবং তখন বেশ ভালো পারফর্ম করেছিলাম। তারপর থেকে ধীরে ধীরে আমরা দলে পরিবর্তন এনেছি এবং ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছি।'
'১২ মাস আগের চেয়ে আমরা এখন ভালো দল। ৬ মাস, এমনকি ৩ মাস আগের চেয়েও আমরা এখন ভালো দল। আমি অনুভব করি, আমরা উন্নতির পথে আছি। চীন খুব কঠিন প্রতিপক্ষ, উত্তর কোরিয়াও তাই। কিন্তু সব কিছুই সম্ভব। আমি এই চ্যালেঞ্জ নিতে চাই এবং সবাইকে বলতে চাই, আমরা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমরা ইতিবাচক কিছু করে দেখাব।'
চীন ও উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে কখনও খেলেনি বাংলাদেশ। উজবেকিস্তানকে অবশ্য একবার মোকাবিলা করেছে তারা। ২০১১ সালে লন্ডন অলিম্পিকের এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ের সেই ম্যাচে মেয়েরা হেরেছিল ৩-০ গোলে। সামনের চ্যালেঞ্জের জন্য নিজেদের তৈরি করতে বাফুফের কাছে কিছু দাবি জানিয়ে রাখেন বাংলাদেশের কোচ, 'আমার পরিকল্পনা আছে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে বাফুফের অর্থায়নের ওপর। কথা বলা সহজ। আমি বলতে পারি, আমি সৌদি আরবে খেলতে চাই অথবা অন্য কোথাও যেতে চাই। কিন্তু এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।'
'আমি কেবল অনুরোধ করতে পারি, অর্থের অনুমোদন দেওয়ার ব্যবস্থা বাফুফেকেই করতে হবে এবং ম্যাচ আয়োজন করতে হবে। আমি পরিকল্পনা ও কৌশল দিয়ে থাকি। এরপর বাকিটা নির্ভর করে কর্তৃপক্ষের ওপর, যাদের অর্থ নিয়ে আসতে হবে। আশা করছি, আমরা কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ ও প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারব।'
অস্ট্রেলিয়ায় কাদেরকে নিয়ে যাবেন তা এখনই সাজানো আছে বাটলারের, 'যদি আমি আপনাদের কাছে পুরোপুরি সৎ থেকে বলি, তাহলে আমার স্কোয়াড কেমন হবে তা সম্ভবত আমি ইতোমধ্যে জানি। টুকটাক কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। অনূর্ধ্ব-২০ দলকে নিয়েও আমি ভীষণ ভালো ফল করেছি। জাতীয় দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তারা বড় ভূমিকা রেখেছে। তাছাড়া, প্রয়োজন পড়লে ডাকতে পারব এমন খেলোয়াড়ও আমাদের আছে।'
Comments