কিরণ বললেন, ‘মেয়েদের একদিনও পাঙাশ মাছ খাওয়ানো হয় না’

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ক্যাম্পে থাকা নারী ফুটবলারদের খাদ্য তালিকা কেমন? তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা কী পূরণ করা হয়? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রকমের নানা প্রশ্নের পাশাপাশি তোলা হয় বিভিন্ন অভিযোগ। বহুদিন ধরে অনেকের দাবি, কেবল তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছ খাওয়ানো হয় ঋতুপর্ণা চাকমা-আফঈদা খন্দকারদের।
খেলোয়াড়দের পুষ্টিহীনতায় ভোগাসহ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাহফুজা আক্তার কিরণ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল ইতিহাস গড়ে আগামী অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পর সোমবার বাফুফে ভবনে আয়োজিত হয় একটি সংবাদ সম্মেলন। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান বলেছেন, 'পুষ্টিহীনতার কথা বলছেন... এটা আমি একমত হব না। কারণ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ডরমেটরিতে যে খাবার দেওয়া হয়, সেটা পুষ্টিবিদ দিয়ে ডায়েট চার্ট করা। সেটা অনুযায়ীই খাবার দেওয়া হয়।'
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওঠা পাঙাশ খাওয়ানোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি, 'সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই লিখেন, এখানে আমরা পাঙাশ মাছ খাওয়াই। আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) মাধ্যমে তাদেরকে আমি বলতে চাই, পাঙাশ মাছ একদিনও খাওয়ানো হয় না। আমাদের এখানে বেশিরভাগ সময়েই থাকে রুই মাছ... বড় মাছ। তারপর যদি ওরা পাবদা খেতে চায়, ইলিশ খেতে চায়, তা দেওয়া হয়। মূলত নিয়মিত প্র্যাকটিস হলো রুই মাছ। থাকে মুরগি, থাকে গরু। যেহেতু হিন্দু মেয়ে আছে, খাসিও থাকে। আর থাকে ডিম। প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও রাতে এই খাবারগুলো যায়। কেন মিথ্যা সংবাদ করা হয়?'
কিরণ পাল্টা প্রশ্ন রেখেছেন, 'মেয়েরা যদি ঠিকমতো খেতেই না পায়, তাহলে তো ওদের স্ট্রেংথই থাকবে না। ওরা ৯০ মিনিট খেলতেই পারবে না। সেটা তো আপনারাও বোঝেন, ৯০ মিনিট ওরা একই ছন্দে খেলে। ওরা কি না খেয়ে খেলে? পাঙাশ মাছ খেয়ে খেলে? না, তাদের পুষ্টি আমরা নিশ্চিত করি।'
তিনি যোগ করেছেন, নারী ফুটবলারদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে বাফুফে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে, 'আমাদের কাছে ওরা যতদিন ধরে আছে, এটা আমরা নিশ্চিত করে যাচ্ছি। এখন ওরা যখন ছোটবেলায় ওদের পরিবারের কাছে ছিল, তখন সমস্যা (অনেকের পুষ্টিহীনতা) ছিল। সেটা তো আমরা ওভারকাম করতে পারব না। আমাদের সর্বোচ্চ লেভেল থেকে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাকিটার জন্য সরকারের সহায়তা চাচ্ছি। আশা করি, সরকার পাশে থাকবে।'
Comments