আবারও জাতীয় দলের ক্যাম্পের জন্য খেলোয়াড় ছাড়তে বসুন্ধরার অস্বীকৃতি

ছবি: বাফুফে

বসুন্ধরা কিংস আবারও বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রস্তুতি ক্যাম্পের জন্য খেলোয়াড় ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে নেপালের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচকে সামনে এই ক্যাম্প চলছে। তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ক্লাবটি ফুটবলার না ছাড়ার কারণ হিসেবে নিজেদের প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করেছে।

সেপ্টেম্বর মাস থেকেই শুরু হবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম। ১২ তারিখ চ্যালেঞ্জ কাপের ম্যাচে ফেডারেশন কাপের শিরোপাধারী বসুন্ধরা মুখোমুখি হবে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের। অন্যদিকে, বাংলাদেশ জাতীয় দল কাঠমুন্ডুতে নেপালের মুখোমুখি হবে আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর। 

আজ শুক্রবার কিংসের অনুশীলন মাঠে জাতীয় দলের প্রথম অনুশীলন সেশন পরিচালনা করেছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তবে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১২ জন খেলোয়াড়। এর আগে বসুন্ধরা তাদের ১০ ফুটবলারকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়। তারা হলেন তপু বর্মণ, তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, সোহেল রানা, সোহেল রানা জুনিয়র, মোহাম্মদ হৃদয়, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাকিব হোসেন ও শাহরিয়ার ইমন।

পুলিশ এফসির ঈসা ফয়সাল ও আবাহনী লিমিটেডের আলমগীর মোল্লার আজ রাতে ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। আবাহনী, মোহামেডান ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের খেলোয়াড়রা ইতোমধ্যে ক্যাম্পে রিপোর্ট করেছেন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারকে পাঠানো বসুন্ধরার সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিকের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, 'গত ফুটবল মৌসুম শেষ হবার পর দীর্ঘদিন আমাদের খেলোয়াড়রা প্রশিক্ষণের বাইরে ছিল। খেলোয়াড়দের সার্বিক দিক বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণের বাইরে থাকলে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ব্যতিত কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে খেলোয়াড়দের মধ্যে চোটের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এমন অবস্থার শিকার হয়েছিলেন আমাদের খেলোয়াড় বিশ্বনাথ ঘোষ। চোটের কারণে তাকে আমরা গত মৌসুম মাঠে নামাতে পারিনি এবং আমাদের দল ও সে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।'

দুঃখ প্রকাশ করে সেখানে আরও বলা হয়েছে, 'বাফুফের ২০২৫-২৬ ফুটবল মৌসুমকে সামনে রেখে আমাদের প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এবং সর্তকতা ও যত্নের সঙ্গে খেলোয়াড়দের চোটের প্রবণতা কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলমান। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় দলের জন্য আমাদের খেলোয়াড়দের ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না বলে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।'

জাতীয় দলের জন্য পাঁচবারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরার খেলোয়াড় ছাড়তে অস্বীকৃতি জানানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে নেপালে হওয়া এসএ গেমসের আগে, ২০২০ সালে ঢাকায় নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচের আগে এবং ২০২১ সালে কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের আগে তারা নিজেদের খেলোয়াড় আটকে রেখেছিল।

তবে ওই তিনবারই পরবর্তীতে বা ফিফার নিয়ম অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত ক্লাবটি খেলোয়াড় ছেড়েছিল। এছাড়া, ২০২৩ সালে চীনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসের দল গঠনের সময় বসুন্ধরা ও আবাহনীর খেলোয়াড়দের বাদ দিয়েছিল বাফুফে।

লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, বসুন্ধরার সভাপতি ইমরুল হাসান আছেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ন্যাশনাল টিমস কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্বে। এই কমিটি জাতীয় দলের চলমান ক্যাম্প পরিচালনা করছে এবং নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচগুলো আয়োজন করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Inaction as policy, lawlessness as outcome

The country deserves better than a government that only condemns after the fact

2h ago