‘পারফরম্যান্স অনুযায়ী জিয়া ভাই বাংলাদেশের সেরা দাবাড়ু’

Ziaur Rahman

১৯৮৭ সালে ২১ বছর বয়েসে উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার কৃতি অর্জন করেছিলেন নিয়াজ মোরশেদ। এরপর লম্বা সময়ের বিরতি। ২০০২ সালে দেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে অপেক্ষার অবসান করেন জিয়াউর রহমান। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালে হন বাকি চারজন রিফাত বিন সাত্তার, আব্দুল্লাহ আল রাকিব আর এনামুল হোসেন রাজিব। জিয়ার দাবার পথচলার পুরোটা সময়ে নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন রাকিব। শুক্রবার দাবার বোর্ডে আকস্মিকভাবে লুটিয়ে পড়ে জিয়ার মৃত্যু তাকে নাড়া দিয়েছে ভীষণভাবে। এই গ্র্যান্ডমাস্টার দ্য ডেইলি স্টারের কাছে তুলে ধরেছেন জিয়ার স্মৃতি। 

'আমি জাতীয় দলে দাবা খেলি ১৪ বছর বয়স থেকে। সেই শুরু থেকেই জিয়া ভাইয়ের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। তিনি আমাকে ছোটভাইয়ের মতন দেখতেন। দাবা খেলার এই যাত্রায় উনার সঙ্গে আমার বিস্তর স্মৃতি।'

'তিনি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষ, খোলা হৃদয়ের মানুষ। তার সারল্য, তার শক্ত নৈতিকতা, নিবেদন আমাকে প্রেরণা দিত সব সময়। আমরা যখন দাবায় ঢুকলাম নিয়াজ ভাই তখন এরমধ্যেই তুঙ্গে আছেন। উনি গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার আগে উনার খুব একটা খেলা আমাদের দেখা হয়নি। কিন্তু জিয়া ভাই, রিফাত (রিফাত বিন সাত্তার) ভাইর পুরো যাত্রাটা পেয়েছি।।'

'আমার মনে হয় খেলাধুলায় জিয়া ভাইর নিবেদন, অবদান অতুলনীয়। নিয়াজ ভাইয়ের পর জিয়া ভাই গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম পেলেন। আমি এই মাইলফলকে গেলাম ২০০১ সালে। এরপর জিয়া ভাই আমাকে বললেন এই জিএম নর্ম তাকে আরেকজন জিএম নর্ম খুঁজতে রোমাঞ্চিত করছে।'

'আসলে আমরা একজন আরেকজনের সাফল্যে হিংসা করিনি। আমরা প্রায় একই সময়ে গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছি। আমরা অনেক টুর্নামেন্টে সতীর্থ আবার প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলেছি। শব্দ দিয়ে সেসব বর্ণনা করা যাবে না।'

'আমার মনে হয় বাংলাদেশের ক্রীড়া-ক্ষেত্রে আর অবদান দীর্ঘদিন স্মরণীয় থাকবে। আমি বলতে পারি পারফরম্যান্স অনুযায়ী তিনি বাংলাদেশের সেরা দাবাড়ু।'

 

Comments

The Daily Star  | English

If consensus commission fails, it will be a collective failure: Ali Riaz

He made the remarks in his opening statement during the 14th day of the second phase of dialogues with political parties

40m ago