বাংলাদেশে বরং কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে চায় ইংল্যান্ড

Jos Buttler
ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশে এসে অনুশীলন জোফরা আর্চারও বনে গেছেন স্পিনার! পেস বোলিং অনুশীলন সেরে লেগ স্পিন, বাঁহাতি স্পিনে নজর কাড়ছেন তিনি। আর্চার নিশ্চিতভাবে মজা করেই এসব করছেন। তবে মিরপুরের উইকেটে স্পিনারদের দাপট থাকাটা ইংল্যান্ডের জন্য খুব একটা মজার বিষয় হওয়ার কথা না। যদিও অধিনায়ক জস বাটলার জানালেন, বাংলাদেশ যেন তাদের দেয় কঠিন সব চ্যালেঞ্জ। যাতে নিজেদের বাজিয়ে আসছে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হতে পারেন তারা।

ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ অনেকটা অপ্রতিরোধ্য। সেই ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারার পর আর কেউ মিরপুরের ডেরায় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে কাবু করতে পারেনি। মন্থর ও উঁচু-নিচু বাউন্সের উইকেটে কদিন আগে সিরিজ হেরে গেছে ভারতও। ইংল্যান্ডের জন্য কাজটা তাই কঠিনই হওয়ার কথা।

যদিও ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে বাংলাদেশ। মিরপুরে প্রথম ম্যাচ জেতার অবস্থা থেকে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়ায়। চট্টগ্রামে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে গিয়ে আর লড়াই জমাতে পারেনি।

এরপর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে, ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সাত বছর পর এবার আবার সামনে ইংল্যান্ড। নিশ্চিতভাবেই প্রথমবার ইংলিশদের সিরিজে হারানোর স্বাদ নিতে চাইবেন তামিম ইকবালরা।

প্রতিপক্ষের দুর্বলতা বুঝে উইকেটে থাকবে স্পিনারদের জন্য অনেক রসদ। বাংলাদেশে এসে এমনটাই যেন আশা করে বসে আছেন বাটলার। রোববার সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, বিশ্বকাপ মাথায় রেখে তারা পড়তে চান কঠিন পরীক্ষায়, 'হ্যাঁ, এটা আমাদের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জের। নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশকে হারানো কঠিন। বিশ্বকাপের আগে ঠিক এরকম চ্যালেঞ্জই আমরা আশা করছি, নিজেদের এখনই কঠিন পরীক্ষায় ফেলার মতো এটাই ঠিক সময়।'

'মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেট আশা করছি, আমাদের জন্য কঠিন কন্ডিশন থাকবে। যেটা আমরা সত্যিই চাইছি। আমরা দল হিসেবে নিজেদের বাজিয়ে দেখতে এরকম কঠিন কন্ডিশনই চাইছে।'

'এখানকার কন্ডিশন ভারতের (বিশ্বকাপে) কাছাকাছি হবে। কাজেই এটা আমাদের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জের হবে কাজেই আমরা এই সিরিজ নিয়ে রোমাঞ্চিত আছি।'

অনেক বড় দল যেখানে বাংলাদেশে এসে খাবি খেয়ে গেছে, ইংল্যান্ড সেখানে পা হড়কায়নি। তবু ২০১৬ সালের সুখস্মৃতি টেনে নিজেদের এগিয়ে রাখার ইচ্ছা নেই বাটলারের,  'এটা অনেকদিন আগের কথা। আপনি যেটা বললেন ঘরের মাঠে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান খুব ভালো। আমাদের দলেও খুব ভালো কিছু খেলোয়াড় আছে। আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে রোমাঞ্চিত আছি। গত কয়েক বছরে উপমহাদেশে আমাদের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় নিজেদের মেলে ধরেছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও অনেকে খেলেছে। কতটা কঠিন হতে পারে তাদের কিছু ধারণা আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

In Sarishabari, para sandesh sweetens Eid celebrations

Behind each piece of this delicate dessert lies hard work and precision

2h ago