টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া সহযোগী সদস্য দেশগুলোর চমকপ্রদ সব পরিসংখ্যান

Uganda

কদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের আসর হচ্ছে আরেকটু বড় পরিসরে। ২০ দলের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে আইসিসির সহযোগী সদস্য নয় দেশ। উগান্ডার মতন দল যেমন খেলবে প্রথমবার, আবার অনেক দলই খেলেছে আগে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া ৯ দলের চমকপ্রদ কিছু পরিসংখ্যান দেখে নেওয়া যাক।

পাপুয়া নিউগিনি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনি যা উইকেট পেয়েছে, তার একটিতেও উইকেটকিপারের অবদান ছিল না। তাদের উইকেটকিপার যে স্টাম্পিং, ক্যাচ- কিছুই নিতে পারেননি। বিশ্বকাপে একমাত্র পাপুয়া নিউগিনিই কট বিহাইন্ডে কোনও উইকেট পায়নি, যদিও তাদের ম্যাচসংখ্যাও তিনের বেশি নয়। অবশ্য কোনও স্টাম্পিংয়ে উইকেট না পাওয়ার বেলায় তাদের সঙ্গী আসন্ন বিশ্বকাপের আরও তিন দল- নেপাল, নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস।

নেপাল

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র ২০১৪ সালের আসরেই খেলেছিল নেপাল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, তখন নেপাল তিন ম্যাচ মিলিয়ে খেলোয়াড় ব্যবহার করেছিল ১১ জন। অর্থাৎ, তিন ম্যাচেই অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নেমেছিল নেপাল।

নেদারল্যান্ডস

আর কোন দল যেখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে ১৬টির বেশি ছক্কা মারতে পারেনি, নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইরিশদের মেরেছিলেন ১৯ ছক্কা। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর বিপক্ষে সহযোগী দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জয় নেদারল্যান্ডসের। সাদা পোশাকের ১২টি দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৮ ম্যাচে ৬টি জয় পেয়েছে ডাচরা।

স্কটল্যান্ড

এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেসব আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ খেলবে, তাদের মধ্যে শুধু স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেই বিশ্বকাপে কোন দল দুইশ রান করতে পেরেছিল। ২০০৯ সালে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকা এনেছিল ৫ উইকেটে ২১১ রান।

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র

আমেরিকা মহাদেশ থেকে জায়গা পাওয়া দুই দলেরই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কানাডা তাদের স্কোয়াডে রেখেছে ১২ জন ত্রিশ বছর বয়সী খেলোয়াড়। স্কোয়াড ঘোষণার সময় সমান সংখ্যক ত্রিশোর্ধ্ব ক্রিকেটার তাদের স্কোয়াডেও রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য বিশ্বকাপ শুরু হতে হতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও একজনের বয়স ত্রিশ ছুঁয়ে ফেলেছে। এজন্য বিশ্বকাপের দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ত্রিশোর্ধ্ব খেলোয়াড় রাখা দলের নাম হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। 

উগান্ডা

আপনার জেনে খটকা লাগতে পারে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিশ দলের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে জয়-পরাজয়ের অনুপাত সবচেয়ে ভালো উগান্ডার। প্রতি হারের বিপরীতে তারা জিতেছে ৩.৬৩১ ম্যাচ। ৯১ টি-টোয়েন্টিতে তাদের জয় ৬৯টি।

নামিবিয়া

স্টাম্পিং করে নামিবিয়া প্রতিপক্ষের কোনও ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরাতে পারেনি এখনও।  সহযোগী কোন দেশ তিনটির বেশি মেডেন ওভার করতে পারেনি বিশ্বকাপে, সর্বোচ্চ তিনটি মেডেন নিয়েছে নামিবিয়া।

ওমান

আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ওমানেরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শতরানের জুটি গড়ার নজির আছে। ২০২১ আসরে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে আকিব ইলিয়াস ও জতিন্দর সিং মিলে গড়েছিলেন ১৩১ রানের অপরাজিত জুটি।

Comments

The Daily Star  | English

NCC, Jamaat hold second round of talks on reform proposals

Jamaat says it has revised positions on key issues after internal review

26m ago