প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাই, অতঃপর আইসিসির নির্দেশে বদলে গেল উগান্ডার জার্সি
বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবারের মতো পা রাখার জন্য উড়াল দিবেন উগান্ডার খেলোয়াড়েরা। সেজন্য তাদের বিদায় জানাতে যেদিন অনুষ্টান করা হলো, সেদিনই বেরিয়ে আসা এক খবরে ঝড় উঠে গেলো দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে যে জার্সি পরে উগান্ডানরা খেলতে নামবেন, সেটি তাদের প্রথম পছন্দের নয়।
এর আগে উগান্ডা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অন্য একটি জার্সি প্রকাশ করেছিল। সেটিতে পরিবর্তন আনতে হবে, আইসিসি এমনটা বলার পরই আসলে জার্সির ডিজাইনে শেষ মুহূর্তে বদল আনতে হয়েছিল দলটিকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বকাপের জার্সি ডিজাইনের একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে উগান্ডা। শেষমেশ এলিজা মাঙ্গেনি নামের একজনের ডিজাইনটি প্রথমস্থান লাভ করে। ওই ডিজাইনে পরে বানানো হয় উগান্ডার জার্সি।
কিন্তু সে ডিজাইনে আপত্তি তুলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। জার্সির হাতায় সারস পাখির পালকযুক্ত প্যাটার্ন ছিল। সেটির উজ্জ্বল রঙের কারণে সেখানে থাকা স্পন্সরের লগো ভেসে উঠতে পারেনি ভালোভাবে। তাই ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি উগান্ডাকে জানায়, জার্সিটি তাদের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে পারেনি। এরপর উগান্ডা ওই জার্সিতেই স্পন্সরের লগো যাতে দৃশ্যমান হয়, সেটির ব্যবস্থা করার কথা ভাবে।
এজন্য হাতার সেই ডিজাইন প্রায় মুছেই ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর ট্রাউজারেও ওই পালকযুক্ত প্যাটার্ন ছিল মোটা আকারে, যেটি ছোট করে রেখে দেয় তারা। আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য নির্ধারিত হওয়া উগান্ডার জার্সিতে এসব পরিবর্তন দেখেই আসলে দেশটির ক্রিকেটাঙ্গনে ঝড় উঠেছিল। যেখানে আফ্রিকান এই দেশের জাতীয় পাখি ধূসর রঙের সারসের পালক দিয়ে তৈরি নকশা ছিল। সেসব তাদের মুছে ফেলতে হয় আইসিসির আদেশে।
প্রথম পছন্দের জার্সি নিয়ে খেলতে পারছে না তাই উগান্ডানরা। এ নিয়ে উগান্ডার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুসালি দেনিশ বলেন, 'আইসিসি ডিজাইনে একটা বদল আনতে বলেছিল কিন্তু প্রয়োজনীয় বদল করার জন্য আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় ছিল না এবং বিজয়ী নির্বাচিত হওয়া ডিজাইনটিতে কিছু আপস করতে হয়েছিল। আমরা শুধু ২০ ভাগের মতো মূল ডিজাইন থেকে হারিয়েছি, কিন্তু ডিজাইনের বাকিটুকু যেমন ছিল তেমনই আছে।'
জার্সি বিতর্ক পেছনে ফেলে প্রথম বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা উপভোগই করতে চাইবেন উগান্ডার ক্রিকেটাররা। উগান্ডানদের সামনে যে আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ অপেক্ষা করছে। গ্রুপ সিতে তারা আরেক প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবেন পাপুয়া নিউগিনিকে। আফ্রিকান অঞ্চলে জিম্বাবুয়েকে বিদায় করে দিয়েই বিশ্বকাপে এসেছে তারা।
Comments