নেপালকে হারিয়ে ডাচদের শুভসূচনা

মূল কাজটা করে দেন নেদারল্যান্ডসের বোলাররাই। বাঁহাতি স্পিনার টিম প্রিঙ্গলের সঙ্গে জ্বলে ওঠেন তিন পেসার লোগান ফন বিক, পল ফন মিকেরেন ও বাস ডি লিডি। তাতে হাতের নাগালেই থাকে লক্ষ্যটা। কোনোমতে একশ রান পার করে নেপাল। এরপর ম্যাক্স ও'ডাওডের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। তাতে জয় দিয়েই আসর শুরু করে ডাচরা।
বুধবার ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের 'ডি' গ্রুপের ম্যাচে নেপালকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.২ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় নেপাল। জবাবে ৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় কমলা জার্সিধারীরা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। ব্যক্তিগত ১ রানেই ওপেনার মাইকেল লেভিটকে তুলে নেন নেপালের সম্পাল কামি। এরপর বিক্রমজিত সিংকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার ও'ডাওড। ৪০ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার।
তবে বিক্রমজিতকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন দিপেন্দ্র সিং আইরি। তাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এই পেসার। ২৮ বলে ২২ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটকে এগিয়ে যেতে থাকেন ও'ডাওড। ৩৮ রানের জুটিও গড়েন তারা। তাতে সহজ জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল দলটি।
তবে সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটকে রানআউট করে ঘুরে দাঁড়ায় নেপাল। কিছুটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হন এঙ্গেলব্রেখট। ও'ডাওডের স্ট্রেইট ড্রাইভ বোলার সম্পালের হাত ছুঁয়ে স্টাম্প ভাঙলে সাজঘরে ফিরতে হয় এই ব্যাটারকে। তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। একই ওভারে স্কট এডওয়ার্ডসকেও আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান স্কটিশ অধিনায়ক। তবে ব্যক্তিগত ৫ রানে তাকে বোল্ড করে দেন অবিনাশ বোহারা।
তাতে জমে ওঠে ম্যাচ। শেষ তিন ওভারে যখন ১৮ রানের প্রয়োজন তখন ও'ডাওডকে ফেরানর সুযোগ পেয়েছিল নেপাল। কিন্তু সে সুযোগ লুফে নিতে পারেননি অধিনায়ক রোহিত। তার ক্যাচ মিসের সঙ্গে যেন ম্যাচও মিস করে ফেলে দলটি। এরপর বাকি কাজ বাস ডি লিডিকে নিয়ে শেষ করেন ও'ডাওড। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
এর আগে টস নেপালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নেদারল্যান্ডস। বোলারদের সৌজন্যে শুরু থেকেই নেপালিদের চেপে ধরে ডাচ বোলাররা। ভিভিয়ান কিংমা ছাড়া সবাই উইকেট পেয়েছেন। শুরুতে ধস নামান বাঁহাতি স্পিনার টিম প্রিঙ্গল। তার সঙ্গে জ্বলে ওঠেন পেসাররাও। ৮ ওভার করে ২০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন প্রিঙ্গল।
পেসার লোগান ফন বিকও নিয়েছেন তিনটি উইকেট। ৩.২ ওভার বোলিং করে তিনি খরচ করেন ১৮ রান। অসাধারণ বোলিং করেছেন পল ফন মিকেরেন ও বাস ডি লিডিও। এই দুই পেসারই পান ২টি করে উইকেট। দুই জন চার ওভার করে করচ যথাক্রমে ১৯ ও ২২ রান।
নেপালের হয়ে অধিনায়ক রোহিত পাউডেল ছাড়া কোনো ব্যাটারই লড়াই করতে পারেননি। এক প্রান্ত আগলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করলেও তার প্রতিরোধ ভাঙে ১৬তম ওভারে। প্রিঙ্গলের বলে রানের গতি বাড়ানোতে গিয়ে ম্যাক্স ও'ডাওডের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৩৭ বলে ৫টি চারের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
পাউডেল ছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল তিন ব্যাটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন নয় নম্বরে নামা করণ কেসি। এছাড়া গুলশান ঝা ১৪ ও অনিল শাহ ১১ রান করেন। তাতে ১০৬ রানে নেপালকে গুটিয়ে দেন নেদারল্যান্ডস। এর চেয়ে কম রানে ইংল্যান্ডকেই একবার আউট করতে পেরেছিল ডাচরা। ২০১৪ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামের মাঠে ইংলিশদের ৮৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল দলটি।
Comments