জেতা ম্যাচে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের মালিক হলেন সৌম্য
বিশ্বকাপের নবম আসরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের বিপক্ষে ২ উইকেটের জয় পেয়েছে নাজমুল হাসান শান্তর দল। তবে জয়ের দিনে সৌম্য সরকার অনাকাঙ্খিত এক রেকর্ডেরই মালিক হয়েছেন। যে রেকর্ডে নিজের নাম লেখাতে চাইবেন না কোনো ব্যাটারই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন বাংলাদেশি এই ব্যাটারের চেয়ে বেশি শূন্য নেই আর কারো।
টি-টোয়েন্টিতে সৌম্যের শূন্যের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ১৩টিতে। তবে সমান সংখ্যক ডাক আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিংয়ের কুড়ি ওভারের ক্যারিয়ারেও আছে। এ দুজনই যৌথভাবে ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণে সর্বোচ্চ ডাক (শূন্য) মেরেছেন। তাদের সঙ্গে অবশ্য যোগ দেওয়ার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে রোহিত শর্মার। ভারতের অধিনায়ক ১২টি ম্যাচে শূন্য রানেই বিদায় নিয়েছেন তার ১৫২ ম্যাচের লম্বা ক্যারিয়ারে। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে আরও দুজন অন্তত দশটি শূন্যর দেখা পেয়েছেন। স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক রিচি বেরিংটন ৯২ ম্যাচে ১০ বার আউট হয়েছেন রানের খাতা না খুলেই। সমান সংখ্যক ম্যাচে একই অভিজ্ঞতা হয়েছে শ্রীলঙ্কার দাসুন শানাকারও।
শনিবার ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে ১২৫ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় বলেই ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে লেগসাইডে খেলার চেষ্টা করেন সৌম্য। পিচ করে বলটা একটু থেমে আসে, তাতে টাইমিং হয় গড়বড়।। ব্যাটের কানায় বল লেগে চলে যায় মিডঅনের হাতে। ২ বলে শূন্য রান করে ফিরে যান তিনি। ৮৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ১৩তম বার তাই সৌম্যকে ফিরতে হয় রানের খাতা খোলার আগেই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি বাঁহাতি এই ব্যাটারের চতুর্থ ডাক। বিশ্বকাপে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ডাক মারার রেকর্ডে নিজের নাম লিখিয়েছেন তিনি। কুড়ি ওভারের বৈশ্বিক আসরে কোনো ব্যাটারের সবচেয়ে বেশি ডাক মারার রেকর্ড পাঁচটি। শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশান ও পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি যে রেকর্ডের ভাগিদার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে ১৬ ম্যাচে সৌম্যের রান স্রেফ ১৫১। বাঁহাতি এই ব্যাটার নিজের জায়গা করে গেলেন প্রশ্নবিদ্ধ।
Comments