বোলিং দিয়ে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার বিশ্বাস ছিলো রশিদের
নামেভারে নিউজিল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও খেলা যখন গায়ানার মন্থর উইকেটে আফগানিস্তানকেই অনেকে এগিয়ে রাখছিলেন। কিউইদের বিধ্বস্ত করে পরে তারা তা বুঝিয়েও দিয়েছে। বড় জয়ের পর আফগান অধিনায়ক রশিদ খান বলছেন টি-টোয়েন্টিতে এটা আমাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পারফরম্যান্স।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের 'সি' গ্রুপের ম্যাচ হয়েছে একপেশে। নিউজিল্যান্ডকে ৮৪ রানে বিধ্বস্ত করেছে আফগানরা। টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে দুই ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে ১৫৯ করে আফগানরা। পরে রশিদের তোপে কিউইরা গুটিয়ে যায় স্রেফ ৭৫ রানে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে রশিদ সম্মিলিতভাবেই কাজটা সেরেছেন তারা, 'টি-টোয়েন্টিতে এটা আমাদের শ্রেষ্ঠ পারফরম্যান্সের একটা, বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের মতন বড় দলের বিপক্ষে। অসাধারণ চেষ্টা ছিলো, কেবল বোলিং নয়। ইব্রাহিম ও গুরবাজ যখন শুরু করল (ব্যাটিংয়ে), উইকেট সহজ ছিলো না। তারা উইকেট ছুঁড়ে দেয়নি।'
গুরবাজ-ইব্রাহিম জুটিতে আসে ১০৩ রান। কঠিন উইকেটেও ৫৬ বলে ৮০ রান করেন গুরবাজ। ৪১ বলে ৪৪ করেন গুরবাজ। পরে ফজলহক ফারুকি আর রশিদ ধসিয়ে দেন কিউইদের। দুজনেই ১৭ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট করে।
গায়ানার উইকেট ঐতিহ্যগতভাবেই মন্থর। এসব উইকেটে খেলা দেখে আগে থেকেই আশাবাদী ছিলো আফগানিস্তান। রশিদ জানালেন তারা জানতেন বেশিরভাগ ম্যাচে বোলিং দিয়েই কাজ সারতে পারবেন তারা, 'আমরা টুর্নামেন্টের আগে আলোচনা করছিলাম যে এইসব উইকেটে ১৬০-১৭০ করা গেলে, আমাদের যে বোলিং ইউনিট আছে তা দিয়ে প্রতিপক্ষকে কঠিন সময় দেব। আমরা জানতাম উইকেটে বোলারদের সহায়তা আছে। আমরা যতক্ষণ ঠিক জায়গায় বল ফেলব, আমাদের জন্য কার্যকর হবে।'
নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক পুড়ছেন সুযোগ হারানোর আক্ষেপে। দুই ওপেনারকেই আউট করার সুযোগ ছিলো তাদের। একাধিক ক্যাচ মিস, আউটের সুযোগ হারিয়ে ভুগেছেন তারা। ম্যাচ শেষে সেই আক্ষেপই শোনালেন কেইন উইলিয়ামসন, 'আমরা যে সুযোগগুলো পেয়েছিলাম যা কাজে লাগাতে পারিনি, তা না করায় ফল বদলানো দুরূহ হয়েছে। আমাদের পারফরম্যান্স পর্যাপ্ত ছিলো না, আমরা যেরকম দল তার কাছাকাছি ছিলো না। আমরা জানি এরচেয়ে ভালো দল আমরা। আরেকটি চ্যালেঞ্জ সামনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজও দুর্দান্ত দল।'
Comments