টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪

কিউরেটরই যেখানে বিভ্রান্ত, আমরা কতটুকু বিভ্রান্তিতে ভাবুন: রোহিত

Rohit Sharma

রহস্যের আরেক নাম হয়ে উঠেছে নিউইয়র্কের পিচ। ম্যাচের আগে পিচ নিয়ে অন্তত একটা ধারণা করতে পারে দুই দল। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের পিচ কেমন আচরণ করবে, তা আরেক চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের জন্য। নিউইয়র্কে দুই ম্যাচ খেলে ফেললেও ম্যাচের আগে রোহিত শর্মা জানালেন, কিউরেটরই বিভ্রান্তিতে আছেন পিচ নিয়ে।

ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের অধিনায়ক বলেন, 'দেখুন, আমরা যেখানে বাস করি, সেখানে ড্রপ-ইন পিচ নিয়ে বেশি ধারণা নেই। আমরা যখন কিউরেটরের সঙ্গে কথা বলেছি, সে-ও পিচ কেমন আচরণ করতে পারে তা নিয়ে খুব বিভ্রান্তিতে ছিল। কতটুকু ঘাস ছাঁটাই করা উচিত, কতটকু ঘাস রাখবে। তো সে যদি বিভ্রান্ত হয়, ভাবতে পারেন আমরা কতটা বিভ্রান্তিতে থাকতে পারি।'

বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ভারত নিউইয়র্কে অবস্থান করছে। গ্রুপ পর্বের প্রথম তিন ম্যাচ রোহিতের দল খেলবে নিউইয়র্কেই। এ পর্যন্ত প্রস্তুতি ম্যাচ ও গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচ খেলেছে তারা সেখানে। পাকিস্তান এই মাঠে তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ভারতের বিপক্ষেই। এক্ষেত্রে ভারত বাড়তি সুবিধা নিয়ে এগিয়ে থাকবে কিনা, এমন প্রশ্ন আসে রোহিতের সামনে। ভারতের অধিনায়ক বলেন, 'নিউইয়র্ক আমাদের ঘরের মাঠ নয়। আমরা হয়তো বাকিদের থেকে ৬-৭ দিন বেশি থেকেছি এখানে, কিন্তু এর মধ্যেও ৩-৪ দিন চলে গিয়েছে বৃষ্টিতে। সেজন্য আমরা খুব বেশি অনুশীলন করতে পারিনি।'

'কিন্তু হ্যাঁ, আমাদের দুই ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে আমরা জানিনা কোন পিচে খেলবো (পাকিস্তানের বিপক্ষে। এখানে উইকেট একেক দিন একেকরকম আচরণ করে। তো দুই দলের জন্যই সমান সুযোগ থাকবে। আমার মতে যে দল ভালো ক্রিকেট খেলবে তারাই জিতবে। আর আমরা নিউইয়র্কে বেশি সময় কাটিয়েছে, কন্ডিশন সম্পর্কে বেশি জানাশোনা আছে বলেই (জিতে যাব না)।', যোগ করেন রোহিত।

নিউইয়র্কের মাঠের পিচের সঙ্গে আউটফিল্ড নিয়েও ভাবতে হচ্ছে দলগুলোকে। রোহিত বলেন, 'আউটফিল্ড ধীরগতির। কিছু শটে মাঠে প্রচুর বাউন্স হয়, আবার অন্য কিছু শটে মাঠে বল গড়ায়ই না। তো রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেট গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে কন্ডিশন অনুযায়ী খেলতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Rising gas prices threaten our investment prospects

The previous government not only turned the country into a net importer of energy, but also initiated a process to make it an import-dependent.

6h ago