নিউইয়র্কের পিচ বলেই আশা হাথুরুসিংহের
দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলবে বাংলাদেশকে। কিন্তু কীসের কী! টুর্নামেন্টের শুরুর আগের এমন ধারণা এখন পাল্টে গেছে পুরোপুরি। উল্টো বাংলাদেশের ভালো সুযোগই দেখতে শুরু করেছেন অনেকে। নিউইয়র্কের লো-স্কোরিং ম্যাচের চলমান ধারা বাংলাদেশের আশার পালে জোর হাওয়াই লাগিয়ে দিয়েছে। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও বললেন, পিচের কারণে এই ম্যাচে সুযোগ দুই দলেরই সমান।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেন, 'ব্যাটিংয়ের জন্য পিচ কঠিন ছিল (নিউইয়র্কে)। এটাই আমরা বেশিরভাগ ম্যাচে দেখতে পাচ্ছি। আমরা যখন খেলেছি এখানে, তখনও ব্যাটারদের জন্য অত সহজ ছিল না। তো এ কারণে দুই দলই সমতায় থেকে ম্যাচটি শুরু করবে। আমরা জানি দক্ষিণ আফ্রিকার ভালো বোলিং আক্রমণ আছে। আমরা তবুও আত্মবিশ্বাসী যে এই পিচে তাদের সঙ্গে ভালো লড়াই করতে পারবো।'
এ পর্যন্ত নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হওয়া পাঁচ ম্যাচের তিনটি জিতেছে পরে ব্যাট করা দল। তবে সকালের খেলায় টস জেতাটাও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারে। রবিবার হাথুরুসিংহে বলেছেনও তাই, 'হ্যাঁ, (টস) হতে পারে (ফ্যাক্টর)। পরবর্তী ম্যাচে, হ্যাঁ, পিচের কারণে। কিন্তু তারপর টস তো ৫০-৫০।'
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নাজমুল হাসান শান্তর দল ২ উইকেটে জিতলেও টপ অর্ডারের দুশ্চিন্তা দূর হয়নি। টাইগারদের প্রথম তিন ব্যাটারই লঙ্কানদের বিরুদ্ধে আউট হয়েছেন এক অঙ্কে। টপ অর্ডার থেকে ভালো পারফরম্যান্সের আশা হাথুরুসিংহের। তবে সমস্যা তিনি দেখছেন আত্মবিশ্বাসেই, 'ক্রিজে সময় নিয়ে ফর্মে ফেরার জন্য এটা কঠিন সংস্করণ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আত্মবিশ্বাস বড় ভূমিকা রাখে।'
'এমনটা নয় যে তাদের কোনো টেকনিকাল সমস্যা হচ্ছে কারণ তারা ট্রেনিং ভালো করছে। ট্রেনিংয়ে তাদের দেখে ভালো মনে হচ্ছে। কিন্তু এটা আত্মবিশ্বাসের অভাবে। তো ভালো জিনিষ হয়েছে যে লিটন ক্রিজে সময় কাটিয়েছে এবং কন্ডিশন অনুযায়ী ব্যাটিং করেছে। অবশ্যই সামনের কয়েক ম্যাচে তাদের (টপ অর্ডার) থেকে আরও বেশি কিছু আশা করছি।'
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে সবকটিতেই। টি-টোয়েন্টিতেই অবশ্য প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আট দেখায় টাইগাররা জয়ের মুখ দেখতে পারেননি একবারও। এবার জয়ের বন্দরে যাওয়ার স্বপ্ন বাংলাদেশকে দেখাচ্ছে নিউইয়র্কের পিচ
Comments